রঞ্জিরঞ্জি ট্রফিতে বাংলা বনাম কেরলের ম্যাচ ড্র হয়ে যাওয়ায় এবারের রঞ্জি ট্রফিতে কার্যত খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে বাংলা দল। যা পরিস্থিতি, তাতে বাকি সব ম্যাচই তাঁদের কাছে মাস্ট উইন। দলকে জিততেই হবে অধিকাংশ ম্যাচে, একমাত্র তবেই সম্ভব হবে পরের রাউন্ডে যাওয়া। বাংলা বনাম বিহার ম্যাচে আগেই বৃষ্টির জন্য এক বলও গড়ায়নি। ফলে খেলা পণ্ড হয়ে গিয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট এসেছিল বাংলার দখলে।
রঞ্জিতে বেজায় চাপে বাংলা-
বাংলা বনাম কেরল ম্যাচেও বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগে থেকেই। কারণ সাইক্লোন দানার আসার কথা ছিল, সেই সময়। তাই বিসিসিআইয়ের কাছে ম্যাচের দিন বদলের আর্জি জানিয়েছিল সিএবি, তবে তাতে তেমন লাভ হয়নি। আর টানা বৃষ্টির জেরে শুক্রবার ও শনিবার সল্টলেকের যাদবপুর ক্যাম্পাসে খেলা সম্ভব হয়নি। এরপর প্রথমে ব্যাট করে কেরল দল তুলেছিল ৯ উইকেটে ৩৫৬। পাল্টা ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলা দল তোলে ১৮১। যদিও তাতে লাভের লাভ বাংলার তেমন কিছুই হয়নি। কারণ দুই দলের একটি করেও ইনিংস শেষ না হওয়ায়, তাঁদের কেউই বেশি পয়েন্ট তুলতে পারেনি ম্যাচ থেকে।
সুদীপ চট্টোপাধ্যায় অর্ধশতরান করলেন-
অবশ্য বাংলা দলের ব্যাটার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় নিজের ধারাবাহিক ফর্ম বজায় রাখেন কেরলের বিপক্ষেও। ব্যাট হাতে করেন অর্ধশতরান। আরেক ওপেনার শুভম দেও অর্ধশতরান করেন। রঞ্জি ট্রফিতে অবশ্য এই রাউন্ডের ম্যাচে অনেক ব্যাটারই নজর কেড়েছেন। যেমন মধ্য প্রদেশের ক্রিকেটার রজত পাতিদার, তিনি রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে পঞ্চম দ্রুততম শতরান করেন হরিয়ানার বিরুদ্ধে। মাত্র ৬৮ বলেই আসে তাঁর শতরান।