উদয়পুর, ধর্মনগর এবং আগরতলা শহরকে স্যাটেলাইট টাউন করা হবে : মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

ত্রিপুরা আগে থেকেই আত্মনির্ভর ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ৩৫ বছর পূর্বতন সরকার কিছুই করেনি। শুধু জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ করেছে। এখন তারা আবার ঘর থেকে বের হতে উঁকি ঝুঁকি দিতে শুরু করেছে। তাদের জিন্দাবাদের যন্ত্রণায় রাজ্যের বহু কল কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। রবিবার উদয়পুর মহকুমা ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি নতুন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।

 উদয়পুর রমেশ ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে এদিন উদয়পুর পুর পরিষদ, টাউন হল সহ বহুতল কমার্শিয়াল বিল্ডিং -এর জন্য ব্যয় হবে ৪৪ কোটি টাকা। এই বিল্ডিং -এর বেজমেন্টে হবে পার্কিং জোন, নেতাজি সুভাষ মহাবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের জন্য ব্যয় হবে ৪০কোটি টাকা, রমেশ স্কুলের ‘বিচিত্রা হল’ এবং নতুন বিল্ডিং নির্মানের জন্য ব্যয় হবে ৮ কোটি ২৪লক্ষ টাকা, এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ হয়েছে ৮কোটি ৫১ লাখ টাকা, রমেশ স্কুল মাঠে সিন্থেটিক টার্ফ বসানোর জন্য ব্যয় হবে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, রাজারবাগে উন্নতমানের মটর স্ট্যাণ্ড করা হবে। এর জন্য ব্যয় হবে ১০ কোটি টাকা।

 ভগিনী নিবেদিতা বিদ্যালয় সংলগ্ন ২০০ শয্যার যুব আবাসের জন্য ব্যয় হবে ১৬ কোটি ২৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। জেলা শাসক কার্যালয়ের জন্য ব্যয় হবে ২৪কোটি ২০লক্ষ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী এছাড়াও উদ্বোধন করেন গামারিয়া স্কুলের নব নির্মিত পাকা ভবনের। এজন্য ব্যয় হয়েছে ১কোটি ৮৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। রবিবার উদয়পুর রমেশ ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ময়দানে হয় এই ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠান।

আয়োজিত অনুষ্ঠানের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বামফ্রন্ট সরকারের কাজ অষ্ট লম্বা কাজ ছিল। তাদের কারণে আজ বহু কাজ করতে হচ্ছে বর্তমান সরকারকে। কিন্তু আজকে যে কাজ বর্তমান সরকার করছে, সেই কাজগুলি আগে করা হলে আজকে অন্য ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার অর্থ রাশি ব্যয় করতে পারত। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন উদয়পুর, ধর্মনগর এবং আগরতলা শহরকে স্যাটেলাইট টাউন করা হবে। এগুলি মর্ডান টাউন হলে বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের এদিন কোনঠাসা করতে আরো বলেন, রাজ্যের শান্তি নেই বলে বিভিন্ন সময় তারা অভিযোগ তুলে। আসলে তারা আগে থেকেই অশান্তি করার জন্য ডিজাইন তৈরি করে রাখে। তারপর যাতে রাজ্যে শান্তি নেই বলে রাস্তায় বের হতে পারে সেই সুযোগ খোঁজে। কিন্তু তিন দিনের মধ্যে সেই সুযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সহ অন্যান্যরা।