ত্রিপুরার ব্যবসায়ীকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ দাবির মতো গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বারাসাতের তৃণমূল কাউন্সিলর ।আর সেই তদন্তেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিআইডি সূত্রে দাবি, শুধু ২০২৪ নয়, ২০২২ ও ২৩ সালেও অপহরণ করা হয়েছিল ত্রিপুরার ব্যবসায়ীকে। মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা হয় ৯ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। আর প্রতি ঘটনারই মাস্টারমাইন্ড বারাসাতের তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দার। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, তিনি মাস্টারমাইন্ড নাও হতে পারেন। পিছন থেকে কলকাঠি নেড়েছেন অন্য কেউ। আর এই কাউন্সিলর ছিলেন ‘সুপারি’প্রাপ্ত অপহরণকারী।
ত্রিপুরার ব্যবসায়ী অপহরণ-তদন্তে নতুন তথ্য মিলেছে। সিআইডি নজরে এবার ত্রিপুরারই আরেক ব্যবসায়ী। তিনিই নাকি পুরো ঘটনার নেপথ্যে। তিনি আদতে যে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়, তাঁরই বিজনেজ পার্টনার। তিনিই ওই কাউন্সিলরকে টোপ দেন, অপহরণ করলে মোটা মুক্তিপণ মিলবে বলে। আর কখন ওই ব্যবসায়ী কোথায় যাবেন, তা নিয়ে কাউন্সিলরকে তথ্য দিয়েছিলেন সেই ব্যবসায়ীই। অপহৃত ব্যবসায়ীর গতিবিধি সম্পর্কেও আগে তৃণমূল কাউন্সিলরকে জানিয়ে দিতেন অভিযুক্ত পার্টনার। সেই অনুসারেই হত কাজ।
তদন্তে নেমে CID-র অনুমান, ওই অংশীদারই বারাসাতের তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দারকে ব্যবসায়ীকে অপহরণের সুপারি দেন। সেই মতোই খড়দায় বান্ধবীর আবাসনের পার্কিং লট থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। CID সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা পেতেন ওই অংশীদার। টাকা দিতে টালবাহানা করছিলেন ব্যবসায়ী। CID-র অনুমান, এরপরই বারাসাতের তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ব্যবসায়ীর অংশীদার। জানিয়ে দেন ব্যবসায়ী বিত্তশালী। এরপর দেড় কোটি টাকা আদায় করতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে সোয়া ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বসে অপহরণকারীরা।
সিআইডি সূত্রে দাবি, শুধু ২০২৪ নয়, ২০২২ ও ২৩ সালেও অপহরণ করা হয়েছিল ত্রিপুরার ব্যবসায়ীকে। মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা হয় ৯ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। আর প্রতিবারই অপহরণের ছক করেছিলেন বারাসাতের তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দার। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে তৃণমূল কাউন্সিলরের সম্পত্তির বহরও বেড়েছে হু হু করে। তাহলে কি মুক্তিপণের টাকাতেই ফুলেফেঁপে উঠেছে তৃণমূল কাউন্সিলরের সম্পত্তি? তদন্ত করে দেখছে সিআইডি