জনগণের অভিযোগে সততা পেলেন বিধায়ক,সকালে ও খুলেনি বিশালগড় মহকুমা শাসক অফিস, বহু বিভাগে তালা

অভিযোগ পেয়ে বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব বিশালগড় মহকুমা শাসক অফিসে গিয়ে প্রত্যক্ষ করলেন সরকারি বাবুমশাইদের কর্তব্যের চরম গাফিলতি। কাজ করার মানসিকতাই নেই একটা বড় অংশের কর্মীদের। জনগণের পয়সায় মাসে মাসে মাইনে গুনে দায়িত্ব খালাস। শনিবার বিশালগড় মহকুমা খাদ্য দপ্তরের অফিস পরিদর্শনে গিয়ে চুক্ষু চড়ক গাছ বিধায়ক সুশান্ত দেবের।

বিশালগড় মহকুমা শাসক অফিসের খাদ্য দপ্তরে দরজায় সকাল ১১ টা পর্যন্ত তালা ঝুলানো। খাদ্য দপ্তরের একাংশ কর্মচারীর গাফিলতির কারনে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ। দুই তিন মাস হয়ে গেলেও রেশন কার্ডে নতুন নাম তুলতে পারছেন না সাধারন মানুষ।

 এই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে সরজমিনে খাদ্য দপ্তরের অফিস পরিদর্শনে যান বিধায়ক সুশান্ত দেব। অফিসে গিয়ে সকল অভিযোগের সত্যতা নিজের চোখে দেখতে পান। ফাঁকিবাজ কর্মচারীদের সিপিআইএম সকল কালচার ভুলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক। জনগণ সঠিক সময়ে সঠিক পরিষেবা থেকে যেন বঞ্চিত না হয় সেই বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য কর্মচারীদের নির্দেশ দেন। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান বিশালগড় মহকুমা শাসক অফিসের খাদ্য দপ্তরের কাজ কর্ম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কিছু অভিযোগ ছিল।

এইদিন সেই সকল অভিযোগের সত্যতা খুজে পেয়েছেন। কিছু কর্মচারী চাইছে সরকারের নাম কালিমালিপ্ত করার জন্য। তাই তিনি সেই সকল কর্মচারীদের সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। এদিন বিধায়ক ভালো করি প্রত্যক্ষ করেছেন সরকার পাল্টেছে, কিন্তু বদলায় নি কর্মসংস্কৃতি। কিছু সংখ্যক সুবিধাবাদী এবং দায়িত্বহীন কর্মীর কারণে সরকারি অফিস গুলির কাজকর্ম অধঃপতনে যাচ্ছে। আর চারদিকে বাজছে শুধু সুশাসন, উন্নয়ন এবং বিকাশ ত্রিপুরা ঢাক ঢোল।