কখনও কলকাতা দখলের হুমকি, কখনও আগরতলা, এমনকী ভারতের নকশাই বদলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। দিন যত গড়াচ্ছে উত্তেজনা ততই বাড়ছে। হুঙ্কার, পাল্টা হুঁশিয়ারি, সীমান্তে সেনার লাগাতার টহল, সব মিলিয়ে বিগত কয়েক সপ্তাহে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনেকটাই অবনতি দেখা গিয়েছে।
উল্টোদিকে বাংলাদেশে মৌলবাদীদের দাপাদাপিতে আতঙ্কে দিন কাটছে সংখ্যালঘুদের। আওয়াজ তুলছে সনাতনী হিন্দুদের সংগঠন। পাল্টা হুঙ্কার ছাড়ছে মৌলবাদীরা। এদিকে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন নিয়ে জটিলতা চলছেই। একমাস পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। এমতাবস্থায় সূত্রের খবর, ইউনূস প্রশাসনের প্রবল চাপ ও কট্টরপন্থী মৌলবাদীদের হুমকিতে বাংলাদেশে ফের স্থগিত হয়ে গেল সনাতনীদের সভা।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর খুলনায় হিন্দুদের প্রতিবাদ সভার ঘোষণা করা হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। সূত্রের খবর, সেই সভা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দুদের সংগঠন। এর আগে চট্টগ্রাম ও রংপুরে বিরাট জমায়েত করেছিল সনাতনীরা। তারপরেই খুলনায় ডাকা হয়েছিল প্রতিবাদ সভা। সেই সভাও আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত সনাতনী সংগঠনদের।
মূলত বাংলাদেশের ইউনূস সরকার আর সেদেশের কট্টরপন্থী মৌলবাদীদের চাপেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে বেশিরভাগ হিন্দু নেতাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে একাধিক মামলা। তাই আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে ওই সভা। সামনে এসেছে বিবৃতি। সেখানেও পুরো পরিস্থিতি ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।