রেডিয়োয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একক এবং স্বতন্ত্র অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’। রবিবার সেই অনুষ্ঠানের ১০ বছর পূর্ণ হল। সেই উপলক্ষে শ্রোতাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
তাঁর মতে, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমগ্র ভারত ও বিশ্বের মানুষ এক সূত্রে বাঁধা পড়েছেন। আর, এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব শ্রোতাদেরই দিয়েছেন মোদী।
তিনি বলেন, ‘যাঁরা শ্রোতা, তাঁরাই মন কি বাতের প্রকৃত উপস্থাপক’। এই প্রসঙ্গে মোদী মনে করিয়ে দেন, শ্রোতারা যদি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করতেন, তাহলে মন কি বাত কখনই সফল হত না।
তাঁরা বিভিন্ন সময় এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তাঁদের কাহিনি শুনিয়েছেন। বিভিন্ন সামাজিক পরিবর্তন ও নিত্যনতুন ভাবনা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন।
মোদীর মতে, মন কি বাতের এই মঞ্চ ব্যবহার করে অসংখ্য তথ্যের আদান-প্রদান ঘটেছে। তা সে জলসম্পদ সংরক্ষণ হোক, কিংবা অতিবৃষ্টির ভয়াবহ প্রকোপ এবং তাকে বাগে আনার উদ্ভাবনী কৌশল! এই ধরনের অংশগ্রহণ বাকিদেরও উৎসাহী ও আগ্রহী করে তুলেছে বলে দাবি করেন মোদী। তাঁর মতে, বাকিরাও বুঝতে পারেন, জলের প্রত্যেকটি বিন্দু সমান গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘জলসম্পদ সংরক্ষণ যে কতটা জরুরি, সেটা আমাদের এইভাবেই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
এদিনের অনুষ্ঠানে মোদী বুন্দেলখণ্ডের বাসিন্দা এক মহিলার কথা, জল সংরক্ষণে তাঁর অবদানের কথা বলেন। ওই মহিলা সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে বালির বস্তা ব্যবহার করে একটি বাঁধ তৈরি করেন।
মহিলার এই প্রচেষ্টার ফলে শুকিয়ে যাওয়া ঘুরারি নদী ফের সজীব হয়ে ওঠে। ওই মহিলার নেতৃত্বে এই পুরো কাজটাই করেন স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা। এই ঘটনা উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘নারীশক্তি জলশক্তিকে ক্ষমতাশালী করেছে এবং জলশক্তি নারীশক্তির ক্ষমতায়ন ঘটিয়েছে।’
মোদীর এদিনের বক্তব্যে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের প্রসঙ্গও উঠে আসে। উল্লেখ্য, আগামী ২ অক্টোবর এই কর্মসূচিরও ১০ বছর পূর্তি হচ্ছে। মোদীর মতে, এটি একটি মাইলফলক। তিনি বলেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকৃত অর্থেই মহাত্মা গান্ধীর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।
এদিন মোদী কেরালার কোঝিকোড়ের বাসিন্দা, ৭৪ বছরের এক বৃদ্ধের কথাও বলেন। ওই বৃদ্ধকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি।