গতমাসে আদানির বকেয়া বাবদ ১৭.৩ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে এখনও আদানির বকেয়া বাবদ ৮৪.৩ কোটি টাকা দেওয়া বাকি তাদের। এই টাকা জোগাড় করতেই হিমশিম অবস্থা মহম্মদ ইউনুসের। এমনই দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশি সংবাদপত্র ‘কালের কণ্ঠ’ রিপোর্টে।
সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আদানিসহ অন্য বিদেশি কম্পানির বকেয়া পরিশোধ করতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ থেকে টাকা নেওয়া হবে। এর আগে বাংলাদেশের পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের অফিসিয়াল দাবি করেছিল, কৃষি ব্যাঙ্কের ডলারের ঘাটতির জেরে বকেয়া মেটানো যায়নি। তাই এবার বকেয়া মেটাতে অন্য পথ অবলম্বন করছে বাংলাদেশ সরকার।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি খাতে দেশের জন্যে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা থেকে কাটছাঁট করে আদানি এবং অন্যান্য বিদেশি সংস্থার বকেয়া মেটানো হবে। ইউনুস সরকারের অভিযোগ, বিগত হাসিনা জমানায় অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের কারণে রাজস্বের চাপ রয়েছে। এর আগে আবার দাবি উঠেছিল, আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি যাতে বাতিল করা হয়।
তবে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জলসম্পদ, পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত মন্ত্রকের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়ে দেন, ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল করা সহজ নয় বাংলাদেশের পক্ষে।