এক মাসের মধ্যেই নিম্ন আদালতে আরজি কর মামলার শুনানি শেষ হয়ে যেতে পারে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন মামলার শুনানিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানান, সিবিআই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ৪৩ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রোজ নিম্ন আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ মামলার শুনানি হচ্ছে। সেই শুনানি প্রক্রিয়া আগামী মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মোট ৫২ জন সাক্ষী আছেন বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ট্রায়াল শেষের পরে কী হবে?
শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন মামলার ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরে অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের দোষীসাব্যস্ত করা হবে। তারপর সাজা ঘোষণা করবে আদালত। ২০১২ সালের দিল্লি গণধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে ৩ সেপ্টেম্বর বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছিল। অভিযুক্তদের দোষীসাব্যস্ত করা হয়েছিল ১০ সেপ্টেম্বর। আর ১৩ সেপ্টেম্বর সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল।
১৭ মার্চ হবে ফের সুপ্রিম কোর্টে RG কর মামলা
যদি সেই ট্রেন্ড বজায় থাকে এবং সিবিআইয়ের প্রত্যাশা মতো মাসখানেকের মধ্যে যদি নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে পুরো প্রক্রিয়াটা শেষ হয়ে যেতে পারে। ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ ফের আরজি কর মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সেইসময়ের মধ্যে যদি কারও মনে হয় যে নিম্ন আদালতে ট্রায়াল প্রক্রিয়া বিলম্ব হচ্ছে, তাহলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে পারবেন।