ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কুয়েত সফরে গিয়ে গাল্ফ স্পিক লেবার ক্যাম্পে যান। আর সেখানে ৯০ শতাংশই ভারতীয়। তিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগেও বিদেশ গিয়ে মোদী নানা সময়ে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেছেন কথা বলেছেন। ২০১৬ সালে সৌদি আরবের রিয়াধে মোদী এল অ্যান্ড টি ওয়ার্কার্স রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন। রিয়াধের অল ওমেন আইটি অ্যান্ড আইটিইএস সেন্টার অফ টিসিএসে গিয়েছিলেন তিনি।
এবারও তিনি ভারতীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। কী ধরনের সমস্যা তাঁদের হচ্ছে, ভারত সরকার তাঁদের কীভাবে সহায়তা করতে পারে সেব্যাপারে তিনি জানতে চান। এদিকে ২০১৪ সালে ই মাইগ্রেট প্রকল্প চালু হয়েছিল।
ডিজি সিস্টেমের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে এই ই-মাইগ্রেট সিস্টেম। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ও এয়ারপোর্টে যারা বিদেশে কাজে যেতে চান তাঁদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়।
মোদী সরকার ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড প্রোটেক্টর জেনারেল অফ ইমিগ্রান্টস ডিভিশনকে শক্তিশালী করছে।
এদিকে শনিবার কুয়েতে ‘হালা মোদী’ অনুষ্ঠানে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, নতুন কুয়েতের যে দক্ষতা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং জনশক্তি দরকার, তা ভারতের রয়েছে। তিনি বলেন, দুটি দেশই হৃদয়ের বন্ধনে সংযুক্ত।
তিনি বলেন, ভারত ও কুয়েত আরব সাগরের দুই তীরে অবস্থিত। শুধু কূটনীতিই আমাদের সংযুক্ত করে না, হৃদয়ের বন্ধনকেও সংযুক্ত করে। ভারত ও কুয়েতের মধ্যে সম্পর্ক সভ্যতা, সমুদ্র, স্নেহ, ব্যবসা-বাণিজ্যের।
‘বাণিজ্য ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে কুয়েত একটি গতিশীল অর্থনীতি হতে চায়। ভারত উদ্ভাবন এবং তার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার দিকেও মনোনিবেশ করছে। ‘নতুন’ কুয়েতের যে দক্ষতা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং জনশক্তি দরকার তা ভারতের রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী কুয়েতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য প্রবাসী ভারতীয়দেরও প্রশংসা করেন।
মাত্র আড়াই ঘণ্টা আগে কুয়েত পৌঁছেছি, এখানে পা রাখার পর থেকে চারদিকে এক অন্যরকম অনুভূতি, এক অন্যরকম উষ্ণতা অনুভব করছি। আপনারা সবাই ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসেছেন, কিন্তু আপনাদের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে যেন একটি মিনি হিন্দুস্তান আমার সামনে এসেছে।