বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কলকাতার অন্যতম হেরিটেজ আস্ত রাইটার্স বিল্ডিং! কে কিনছে? উঠল বড় প্রশ্ন

রাইটার্স বিল্ডিং নামটার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কলকাতার অনেক ইতিহাস। অতীতে স্মৃতি আঁকড়ে শহরের বুকে এখনও দাঁড়িয়ে আছে লালরঙের সেই ভবন। একসময় রাজ্য সরকারের প্রধান দফতর হিসেবে থাকা এই ভবনে বহু বিশিষ্টি ব্যক্তি এসেছেন বিভিন্ন সময়। এই ভবন থেকেই রাজ্য চালিয়েছেন জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা। কিন্তু মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সরকারের দফতর সরে যায় নবান্নে। কথা ছিল, নতুনভাবে সাজানো হবে রাইটার্স বিল্ডিংকে। এবার সেই ভবন নিয়ে উঠল প্রশ্ন। প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং।

প্রায় ১১ বছর কেটে গিয়েছে, রাইটার্স বিল্ডিং ছেড়েছেন মমতা। বর্তমানে নবান্নের ১৪ তলায় বসেন তিনি। সরকারি দফতর সরিয়ে নেওয়ার পর রাইটার্স বিল্ডিং-এ কাজও শুরু হয়েছিল।

কলকাতার অন্যতম হেরিটেজ। প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো সেই ভবন সংস্কারের কাজ কতদূর এগোল? আর কি কখনও সেখানে দফতর নিয়ে ফিরবেন মমতা? সেই প্রশ্নই তুলেছেন অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, রাইটার্স বিল্ডিং বিক্রিও হয়ে যেতে পারে। তাঁর সন্দেহ শুধু রাইটার্স বিল্ডিং নয়, আলিপুর জেলও বিক্রি হয়ে যেতে পারে।

শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্জুন সিং বলেন, “আজ ১১ বছর হয়ে গেল। রাইটার্স বিল্ডিং আজ পর্যন্ত ঠিক হল না। দেড় বছর ধরে পুরো বন্ধ কাজ।” এরপরই অর্জুন প্রশ্ন তোলেন, “এই সম্পত্তিটা কি বেচে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে! কাকে দেবেন? গোয়েঙ্কাকে দেবেন? নাকি নেওটিয়াকে দেবেন?” তাঁর দাবি, সংস্কারের নামে ভাঙা হলেও কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আলিপুর জেল নিয়ে প্রশ্ন তুলে অর্জুন সিং আরও বলেন, “আলিপুর সেন্ট্রাল জেলটা উনি বিক্রি করে দিয়েছেন। জমি বেচে বারুইপুরে জেল নিয়ে যাওয়া হল। কে কিনল সেই জমি!” এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে এই বিষয়ে কারও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।