NEWSHOOK.IN
SHARE

দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকর খুনের কথা মনে করিয়ে দিল বেঙ্গারুর মহালক্ষ্মী হত্যাকাণ্ড। একই ভাবে খুন করে তরুণীর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় বেঙ্গালুরুর ঘটনায়। এরই মাঝে কর্ণাটকের মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, খুনী পশ্চিমবঙ্গের হয়ে থাকে পারেন। তবে তিনি কোনও নাম প্রকাশ করেননি তখন। তবে এবার নিহত তরুণীর স্বামীর বয়ানে সামনে এসেছে সন্দেহভাজনের নাম।  

এরই মাঝে আবার জেরার মুখে মহালক্ষ্মীর স্বামী এবার স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত প্রেমের কথা জানালেন। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এই খুনের নেপথ্যে স্ত্রীর প্রেমিকই থাকতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, মহালক্ষ্মীর স্বামী হেমন্ত দাস কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকতেন। এই হেমন্তের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী মহম্মদ আশরাফ নামে একজের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। আর সেই আশরাফই খুন করে থাকতে পারে মহালক্ষ্মীকে। এদিকে হেমন্তের দাবি, এই আশরাফ উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

এদিকে পুলিশ আশরাফের খোঁজ শুরু করেছে। তবে আশরাফ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কর্ণাটকের মন্ত্রীও আশরাফের বিষয়ে বলেছিলেন কি না, তাও স্পষ্ট না। পুলিশ বর্তমানে সিসিটিভি ফুটেজ এবং মহালক্ষ্মীর ফোন রেকর্ড বিশ্লেষণ করছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে যে হত্যাকারী সব প্রমাণ লোপাট করতেই হয়ত দেহ এত টুকরো করেছিল।  

এই সবের মাঝেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে গিয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে কংগ্রেসকেতোপ দাগা হচ্ছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, হাত শিবিরের তোষণের রাজনীতির কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরু পুলিশের ইঙ্গিত থেকে বোঝা গিয়েছে যে মহালক্ষ্মীর স্বামী এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। পুলিশও মহালক্ষ্মীর এক ‘বন্ধুকে’ হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে পুলিশ সরকারি ভাবে সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি।  

বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ বলেন, ‘মূল সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সে একজন বহিরাগত। আমরা এখনও পর্যন্ত এর চেয়ে বেশি তথ্য দিতে পারছি না কারণ এটি অভিযুক্তদের সহায়তা করতে পারে।’ কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর এএনআইকে জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে মনে করা হচ্ছে এবং পুলিশ এই মামলা সম্পর্কিত যথেষ্ট তথ্য ও সূত্র সংগ্রহ করেছে।  

রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে হেমন্তের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মহালক্ষ্মী এবং হেমন্তের। তাঁদের এক মেয়েও আছে। তবে ৯ মাস আগে থেকে তারা দাম্পত্য কলহের কারণে আলাদা থাকতে শুরু করে। এদিকে হেমন্ত জানায় এক আগে আশরাফের নামে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পুলিশে।  


SHARE