রাজ্যের সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন করার জন্য সরকারের একটি পলিসি রয়েছে। বিশেষ করে ত্রিপুরায় কৃষি ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে কোন সংস্থা যদি রাজ্যে ইনভেস্ট করতে ইচ্ছে প্রকাশ করে তাহলে রাজ্য সরকার জমি দিতে আপত্তি নেই। কারণ এটি মন্ত্রী সভায় পাশ করা একটি পলিসি। এর জন্য কোন টেন্ডারের প্রয়োজন হয় না। রবিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, মনিপুরের রাজধানী ইম্ফলে সিজা হাসপাতাল রয়েছে।
১৯৮৫ সাল থেকে তারা সেখানে পরিষেবা দিয়ে চলেছে। বর্তমানে ৩৫০ শয্যার চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে সিজা হাসপাতাল। ৩৭ টি স্পেশালিটি এবং সুপার স্পেশালিটি পরিষেবা তারা দিচ্ছে সেখানে। গত ডিসেম্বর মাস থেকে সিজা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনিপুর সরকারের কাছে জানায়, ত্রিপুরা রাজ্যে তারা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করতে চায়। তারপর রাজ্য সরকার তাদের জমি দিয়েছে।
কিন্তু বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন যে অভিযোগ করেছে তাতে বোঝা গেছে সঠিক তথ্য এখনো পান নি। জমি নিতে তারা নির্দিষ্ট পলিসি অনুযায়ী জেলা শাসকের কাছে আবেদন পত্র জমা দিয়েছে। তারপর সে অনুযায়ী আর কে নগর এলাকায় তাদের জন্য ২৮ একর জমি চিহ্নিত করা হয়।
তারপর প্রশাসনিক নিয়ম মেনে রাজস্ব দপ্তর এন ও সি দেওয়া হবে সিজা হাসপাতালকে। কিন্তু সুদীপ রায় বর্মন মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকারকে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টায় রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। সুদীপ রায় বর্মনকে উদ্দেশ্য করে ধৈর্য ধরতে বলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি আরো বলেন, রাজ্যের অর্থ আটকাতে বাইরে থেকে আসা ইনভেস্টারদের স্থান দিতে হবে।
নাহলে রাজ্যের মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বাইরে যাবে। আরো বলেন, সিজা হাসপাতাল অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছে মনিপুরে। প্রশাসনিক নিয়ম নীতি মেনে ত্রিপুরা রাজ্যে যখন সিজা হাসপাতাল গড়ে উঠবে তখন উপকৃত হবে রাজ্যবাসী। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে।