নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠল মাণিপুর। নতুন করে হওয়া হিংসার সেখানে মৃত্যু হল ৬ জনের। ওই হিংসার ঘটনা ঘটেছে জিরিবাম জেলায়। এর জেরে জেলায় ৫ জনের বেশি জমায়েত, অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলার ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ কুমার জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত ওই জমায়েত না করার নির্দেশিকা বহাল থাকবে।
পুলিস সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীরা রাজধানী ইম্ফল থেকে ২২৯ কিলোমিটার দূরে জেলার নুংচাপ্পি গ্রামে হামলা চালায়। এতে ইউরেম্বাম কুলেন্দ্র সিং নামে ৬৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হন। তার জেরেই শুরু হয়ে যায় গোলমাল। এর পরই ওই পাঁচজন মেইতেই সম্প্রদায়ের সশস্ত্র দল ও কুকি উপজাতিদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এলাকার বিভিন্ন জায়গায় থাকে ‘গ্রাম প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক’। এই হামলার এক দিন আগে রাজ্যের মোইরাং শহরে মেইতেই সম্প্রদায়ের একজন বয়স্ক ব্যক্তি কুকি বিদ্রোহীদের রকেটচালিত বোমা হামলায় নিহত হন। পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, হামলার পর জিরিবাম পুলিস সুপার এবং পুলিসের একটি দল ওই এলাকায় ছুটে যায়। কিন্তু তাদের ওপরও গুলি চালানো হয়।
রাজ্যের আইজি কে কাবিব সংবাদমাধ্যমে বলেন, শনিবার সন্দেহভাজন কুকিদের হামলায় এক বয়স্ক মানুষের মৃত্য়ু হয়। তার পরই গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের বাধা দেয়। এতেই নিহত হন লাখি কুমার শর্মা। কুকি বিদ্রোহীরা রকেট চালিত বোমা ছুড়লে ৫ জন আহত হয়।
গত মাসে জিরিবামে মেইতেই ও হামার নেতারা নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় মিলিত হন। তারা এক যৌথ বিবৃতিতে শান্তির জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে চুরাচাঁদপুরভিত্তিক কুকি গোষ্ঠীগুলো শান্তি আলোচনায় আপত্তি জানিয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, আলোচনায় অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলো তাদের স্বার্থের পরিপন্থী। তারা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের ইচ্ছায় বৈঠক করেছে। তবে হামার ইনপুই শান্তি উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল এবং যারা বৈঠকে অংশ নিয়েছিল তাদের তা বন্ধ করার জন্য সতর্ক করেছিল। হামার ইনপুই বলেছিল, এই নেতারা বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন বিভেদমূলক ও সাম্প্রদায়িক সরকারের খেয়াল-খুশির কাছে নতিস্বীকার করছেন।