অপহরণের হুমকি বাংলাদেশে, হিন্দু নাবালিকা পালিয়ে এলেন ভারতে, ধরল BSF

ইসকন ভক্ত হওয়াই ‘দোষ’। আতঙ্কে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসেন ১৭ বছর বয়সি এক নাবালিকা। তবে এপারে এসে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছেন সেই তরুণী। পরে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে সেই তরুণীকে তুলে দেয় বিএসএফ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরে। ধরা পড়ার পরে সেই তরুণী দাবি করেছেন, তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই মৌলবাদীরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল।

তবে সম্প্রতি তাঁকে অপহরণ করার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসার পরিকল্পনা করে সেই নাবালিকা। তবে আইনি পথে ভিসা নিয়ে ভারতে আসতে কতদিন লাগতে পারে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তাই পায়ে হেঁটে সীমান্ত পার করেন তিনি। আর তখনই বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন সেই তরুণী।

পুলিশের কাছে সেই তরুণী দাবি করেন, তাঁর আত্মীয়রা ভারতে থাকেন। তাঁদের কাছেই যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। এদিকে সেই তরুণীর মুখের কথা যাচাই করতে চাইছে পুলিশ। এই আবহে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এদিকে সেই তরুণীকে সীমান্ত পার করতে কোনও দালাল সাহায্য করেছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘মেয়েটি দাবি করেছে, জলপাইগুড়ি জেলায় তাঁর আত্মীয় আছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। এছাড়া সেই তরুণীকে সীমান্ত পার করতে কে সাহায্য করেছে, তা জানতে তদন্ত চালানো হচ্ছে।

সেই নাবালিকা সম্পর্কে পুলিশ আরও জানিয়েছে, ধৃত নাবালিকা বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা। পায়ে হেঁটেই সীমান্ত পার করেছিলেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের ফতেহপুর আউটপোস্টের পাশ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সেই নাবালিকা। তখন বিএসএফের নজরে পড়েন তিনি। এদিকে বার্তাসংস্থা পিটিআইকে সেই তরুণীর ভারতীয় এক আত্মীয় বলেন, ‘সেই নাবালিকা এবং তাঁর পরিবার ইসকনের ভক্ত। বাংলাদেশের মৌলবাদীরা তাঁকে অপহরণ করার হুমকি দিয়েছিল।

এছাড়া তাঁর পরিবারকেও খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপরই সেই নাবালিকাকে ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল তাঁর পরিবার। তবে ঠিক কবে তাঁকে পাঠানো হবে, তা আমরা জানতাম না।’ জলপাইগুড়িতে থাকা সেই নাবালিকার আত্মীয় আরও জানান, বাংলাদেশে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের কাজ করতেন সেই নাবালিকার বাবা। তবে বিগত বহুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ।