অনেকেই রয়েছেন যারা প্রবীণ মানুষদের (Senior Citizen) সংসারের ভার হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন। তবে প্রবীণ নাগরিকরাই হলেন দেশের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। আজ যারা প্রবীণ, তারাই একটা সময় ছিলেন নবীন। নবীনত্তের শক্তিতে সমৃদ্ধ করেছিলেন দেশকে। তাই প্রত্যেক প্রবীণ নাগরিকের ভালো-মন্দের খেয়াল রাখা দেশের কর্তব্য।
Senior Citizen’দের জন্য বিশেষ স্কিম
প্রবীণ নাগরিকদের (Senior Citizen) জীবনের মানোন্নয়নের জন্য ১৯৯৯ সালে গোটা দেশ জুড়ে নীতি গ্রহণ করা হয়। ২০২১ সালের সংশোধন করা হয় সেই নীতি। সংশোধিত নীতির নাম দেওয়া হয় অটল বয়ঃঅভ্যুদয় যোজনা। এই যোজনার অধীনে রয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প। সেই প্রকল্পগুলি মূলত তৈরি করা হয়েছে প্রবীণ নাগরিকদের কথা চিন্তা করে।
স্থানীয়স্তরে প্রবীণ মানুষদের (Senior Citizen) চাহিদার কথা মাথায় রেখে কর্মসূচি রুপায়ন করতে বলা হয়েছে সরকারের তরফে। যে সকল প্রবীণ নাগরিকের মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকার কম এবং শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য চালু করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় বয়ঃশ্রী যোজনা। এই যোজনার অধীনে সেইসব প্রবীণ ব্যক্তিদের বিনামূল্যের চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি প্রদান করা হয়ে থাকে।
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুসংহত কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বৃদ্ধাবাস ও ভ্রাম্যমান চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থাকে। নথিভুক্ত সোসাইটি, গ্রাম পঞ্চায়েত, স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি রয়েছে এই তালিকায়। যে প্রবীণ ব্যক্তিরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের সম্মানিত করার জন্য রয়েছে বয়ঃশ্রেষ্ঠ সম্মান।