খেলার খবর

অশ্বিন-জাদেজার রেকর্ড জুটি, অশ্বিনের অপরাজিত ১০২

SHARE

চেন্নাই টেস্টে খাদের কিনারা থেকে ভারতীয় দলরে টেনে তুলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গি করে দুরন্ত লড়াই দেন ভারতীয় দলের এই অলরাউন্ডার। তাঁর অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই ভারতীয় দল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩০০ রানের গণ্ডি টপকে যায়। এক সময় ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারানো টিম ইন্ডিয়ারই দিনের শেষে স্কোর ৬ উইকেটে ৩৩৯, অর্থাৎ পার্টনারশিপে তিনি আর জাড্ডু তুলেছেন ১৯৫ রান। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে এই জুটি আর কিছুটা রান তুলে ফেলতেই পারলেই এই টেস্ট জয়ের দিকেও এক পা বাড়িয়ে ফেলবে ভারতীয় দল। 

নিজের শতরানের পর অশ্বিন বলছেন এই পিচ থেকে সাহায্য পাবে ভারতীয় বোলাররা, ফলে তাঁর কথা থেকে আশা দেখতেই পারেন ভারতীয় ক্রিকেটভক্তরা।একইসঙ্গে বাংলাদেশ বোলারদের দুরন্ত পারফরমেন্সেরই কৃতিত্ব দিচ্ছেন চেন্নাইয়ের এই অলরাউন্ডার। স্পষ্টভাষাতেই বলছেন, আর নাজমুল হোসেন শান্তদের দলকে আন্ডারডগ বলা যাবে না, যেরকম পারফরমেন্স তাঁরা সাম্প্রতিক সময় দিয়ে আসছেন। 

অশ্বিন বলছেন, ‘ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এখানে যখন শতরান করেছিলাম সেটি ছিল করোনার সময়। প্রথবার সমর্থকরা করোনার পর মাঠে এসেছিল। আমি তাই খুব বেশি সমর্থকদের থেকে আশা করিনি, কিন্তু সেই ম্যাচটা আমার কাছে স্পেশাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই মাঠটা আমার কাছে সব সময়ই স্পেশাল, অনেক অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এখানে। পুরনো দিনের ভালো স্মৃতিও রয়েছে। আমি যখনই মাঠে নামি একইরকম উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়েই খেলি, ক্রিকেট আমার কাছে খুব ভালোবাসার একটা বিষয়। আমি প্রতিটা মূহূর্তই মাঠে নেমে উপভোগ করি।

৩৮ বছর বয়সে এসে শতরান করে ভারতীয়দের তালিকায় চতুর্থ স্থানে জায়গায় হয়েছে তাঁর। খুব বেশিদিন হয়ত টেস্টে ৫০০ উইকেটর মালিকের খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবু ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বলছেন, ‘ বয়স একটা সংখ্যা তো বটেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যদি পরিশ্রম করা যায়, তাহলে অনেক কিছুই নিজের থেকে বের করে আনা সম্ভব এগিয়ে যাওয়ার জন্য। কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এখানে যত টেস্টে আমরা খেলেছি এর আগে, ওই ইংল্যান্ড ম্যাচটা বাদ দিলে। সব টেস্টেই ব্যাটাররা বড় রান করেছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে উইকেটটাও ৫০০ রান তোলার উইকেট ছিল। এই পিচ টেস্টের জন্য খুবই ভালো, আমরা তো আবারও লাল মাটিতেই খেলব।  উইকেটে ভালো বাউন্স থাকবে ফলে বোলাররাও সুবিধা পাবে। ’


SHARE

This website uses cookies.