মেঝেতে পড়ে দম্পতি, বক্স খাটের মধ্যে লোকানো ৩ মেয়ের দেহ! ১ জনের পা বাঁধা চাদরে

মেঝেতে পড়ে আছে দম্পতির দেহ। আর বক্স খাটের ভিতরে পড়ে রয়েছে দম্পতির তিন কন্যাসন্তানের দেহ। চাদর দিয়ে বাঁধা রয়েছে একজনের পা। এমনই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশের মীরাটের একটি বাড়ি থেকে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করছে যে কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দম্পতি এবং সন্তানদের মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। তবে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেইসঙ্গে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যেভাবে দম্পতির বাড়ির দরজা আটকানো ছিল, তাতে মনে করা হচ্ছে যে খুনের ঘটনায় পরিচিত কেউ জড়িত আছে। সম্ভবত পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ।

যদিও কবে সেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে লিসাড়ি গেট থানার অন্তর্গত একটি এলাকা থেকে খবর আসে যে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ অফিসাররা। ঘটনাস্থলে আসেন মীরাটের সিনিয়র পুলিশ সুপার বিপিন টাডাও।

পরিচিত কেউ হত্যাকারী?

তিনি বলেন, ‘(দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে) ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। লোকজন জানান যে বাইরে থেকে দরজা লক করা ছিল। ঘরের ভিতরে এক দম্পতি এবং তাঁদের তিন সন্তানের দেহ পড়েছিল।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘যেভাবে ঘরের দরজা বন্ধ ছিল, তাতে অনুমান করা হচ্ছে, যে এই ঘটনায় যুক্ত, সে হয়ত পরিবারের পরিচিত কেউ।’

ফরেন্সিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে

মীরাটের সিনিয়র পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে যাবতীয় দিক। ওই পরিবার সম্প্রতি নয়া জায়গায় এসেছিল। তাদের বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মীরাটের সিনিয়র পুলিশ সুপার।

মৃতের ভাই সেলিম জানিয়েছেন, বুধবার থেকে মইন এবং বৌদি আসমার খোঁজ পাচ্ছিলেন না। তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। মইনের সন্ধানে স্ত্রী’কে তাঁদের বাড়িতে আসেন। সেইসময় বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। সেই দরজা খুলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পরে প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন যে মইন ও আসমার দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। বক্স খাটের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে আফসা (৮), আজিজা (৪) এবং আদিবার (১) দেহ।