manik saha
SHARE

গত কয়েক মাসে গন্ডাছড়া ও রানীরবাজার সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। সাথে পাল্লা দিয়ে সংঘবদ্ধ হামলায় যুবক খুন, সংঘবদ্ধ মহিলার উপর আক্রমণ, পেঁপে গাছে বেঁধে মহিলাকে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা সহ একাধিক ঘটনা সামনে উঠে এসেছে। এই ঘটনাগুলি নিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম এবং কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা অবনতি হয়েছে।

এমনটা অভিযোগ নিয়ে যখন বিরোধীরা মাঠঘাট গরম করছে তখন পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত হলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয়ে যায়। গার্ড অফ অনার দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক, আইনশৃঙ্খলা বিভাগের আইজি, সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেন। গত এক বছরের আইনশৃঙ্খলার খতিয়ান দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর জানতে পারেন গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম অপরাধমূলক ঘটনা গত এক বছরে ঘটেছে।

তারপর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশককে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন একটা সময় মানুষ থানায় যেতে ভয় পেত। এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সাথে কথা হয়েছে। বলা হয়েছে মানুষ যাতে থানায় গিয়ে তার অভিযোগ দায়ের করতে পারে এবং সব ধরনের সহযোগিতা যাতে পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে। মানুষ যাতে সঠিকভাবে বিচার পায় তার জন্য কোন রকমে খামতি না রাখতেও বলা হয়েছে পুলিশ আধিকারিকদের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন দেশে ২৮ টি পূর্ণ রাজ্য রয়েছে।

এরমধ্যে আইনশৃঙ্খলা দিকে ত্রিপুরা নিচের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে আছে। তারপরও অপরাধমূলক ঘটনার রাশ যাতে আরো টানা যায় এবং মানুষ যাতে নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের তোলা অভিযোগ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন আগে পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমান সরকার পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। যারা অপরাধমূলক ঘটনা সংগঠিত করে তাদের কোন জাত হয় না। রাজ্য সরকার এ ধরনের অপরাধমূলক ঘটনার সাথে কোন ভাবেই আপোষ করতে চায় না। আইনজীবীদের সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় করে পুলিশ যাতে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে তার জন্য বলা হয়েছে।

 রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরনো মামলা যাতে থানা ভিত্তিক খুঁজে বের করা হয়। যেসব পরিবার বিচার পাইনি তাদের বিচার পাইয়ে দিতে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। এবং আইন অনুযায়ী পুরনো মামলা পুনরায় তদন্ত করার ব্যবস্থাও রয়েছে। সুতরাং দ্রুততার সাথে যাতে পুলিশ কাজ শুরু করে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন কর্মী সংকট রয়েছে।

তারপরও কিভাবে ট্রাফিক সমস্যার সমাধান করা যায় সে বিষয়টা নিয়ে বৈঠক করা হবে। সবশেষে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে এদিন বলেছেন পুলিশকে এমনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে যাতে মানুষ তাদের কাজে সন্তুষ্ট থাকে। তাই পুলিশকে ট্রান্সপারেন্সি রেখে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন আসন্ন দুর্গাপূজায় যাতে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উপভোগ করতে পারে তার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা যাতে রাখা হয়।


SHARE