ঘরে, বাইরে চাপ ছিলই। এই আবহে লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন জাস্টিন ট্রুডো। এমনই দাবি করা হল ‘গ্লোব অ্যান্ড মেল’ সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে। তবে দলের প্রধানের পদ থেকে সরলেও এখনই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বুধবার শাসক গোষ্ঠীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকের আগেই নাকি লিবারেল পার্টির প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন জাস্টিন ট্রুডো। বিগত দিনে তাঁর মন্ত্রিসভার অনেকেই পদত্যাগ করেছেন। দলের অনেক সাংসদই ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ট্রুডোর জনসমর্থন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছিলেন তিনি। তবে আসন্ন নির্বাচনের আগে তিনি লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ ছাড়তে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির প্রধান হয়েছিলেন ট্রুডো। সেই সময় তাঁর দলের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কানাডার সংসদে প্রথমবারের মতো লিবারেল পার্টি তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে ২০১৫ সালে ট্রুডোর নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছিল লিবারেল পার্টি। ট্রু়ডো কানাডার ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর থেকে টানা প্রায় এক দশক তিনি গদিতে আছেন। তবে ক্রমেই তাঁর জনপ্রিয়তা কমেছে। এই আবহে আসন্ন নির্বাচনে তাঁর দলের হার প্রায় নিশ্চিত বলেই দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায়। তার আগে তিনি দলের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালে কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে।
এর কয়েকদিন আগেই আর্থিক ঘাটতি দেখা দেয় কানাডায়। এই আবহে অর্থমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে এই ক্রিস্টিয়াই ছিলেন ট্রুডোর ডেপুটি। সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন ক্রিস্টিয়া। উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে কানাডায় ক্ষমতায় আছে জাস্টিন ট্রুডোর লিবেরাল পার্টি। বর্তমানে তাঁর সরকারের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতাও নেই। আসন্ন নির্বাচনে ট্রুডোর মূল প্রতিপক্ষ কনজারভেটিভ পার্টি। এছাড়াও জগমিৎ সিংয়ের নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও এই নির্বাচনে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে বলে মত বিশ্লেষকদের। এছাড়া গ্রিন পার্টি এবং ব্লক কুইবেকসও কিছু আসন দখল করতে পারে। এদিকে কানাডায় ক্রমেই সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রুডো। এমনকী দলেও চাপের মুখে আছেন ট্রুডো। অপরদিকে এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিরোধীদের পায়ের তলার জমি আরও শক্ত হচ্ছে।