নিজের কষ্টার্জিত প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ)-র টাকা তুলতে গিয়ে অনেক সময়ই মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। নিত্যদিন এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হন অনেক নেটিজেনরা। কিন্তু সেই সংগ্রামের দিন হয়তো অতীত হতে চলেছে খুব দ্রুত। সেরকমটাই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সরকার। অন্য কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার মতই সহজেই এবার এটিএম থেকে পিএফ-র টাকা তোলা যাবে বলেই জানাচ্ছে কেন্দ্র। আগামী বছর থেকেই চালু হতে পারে এই অনবদ্য পরিষেবা।
শ্রমমন্ত্রক দেশের বিশাল ওয়ার্কফোর্সকে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার জন্য তার আইটি সিস্টেমগুলি আপগ্রেড করছে।শ্রমসচিব সুমিতা দাওরা জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে ইপিএফও গ্রাহকরা সরাসরি এটিএম থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড তুলতে পারবেন।
“আমরা দ্রুত দাবি নিষ্পত্তি করছি এবং জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য উন্নত করতে প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য কাজ করছি। কোনও দাবিদার, সুবিধাভোগী বা বীমাকৃত ব্যক্তি ন্যূনতম মানবিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এটিএমের মাধ্যমে তাদের দাবিগুলি সহজেই অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হবেন।
“সিস্টেমগুলি উন্নত হচ্ছে, এবং প্রতি দুই থেকে তিন মাসে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ্য করবেন। আমার বিশ্বাস, ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে বড় ধরনের উন্নতি হবে।এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনে ৭ কোটিরও বেশি সক্রিয় অবদানকারী রয়েছে।
শ্রম সচিব জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানোর জন্য ইপিএফও পরিষেবার উন্নতিতে সরকারের প্রচেষ্টার উপরও জোর দিয়েছিলেন। গিগ কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে দাওরা বলেন, এই নিয়ে আলোচনা চলছে গুরুত্বের সঙ্গে তবে কোনও নির্দিষ্ট টাইমলাইন দিতে রাজি হননি তিনি। এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে ও সেটি চূড়ান্ত পর্যায় আছে বলে তিনি জানান। জানা গিয়েছে, গিগ কর্মীদের সুরক্ষার জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র। অন-রোল কর্মীদের মতই এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা চিকিত্সা স্বাস্থ্য কভারেজ, প্রভিডেন্ট তহবিল এবং অক্ষমতার ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন, তেমন আইন আসতে পারে।
গিগ এবং প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা এবং কল্যাণ সুবিধা প্রদানের জন্য একটি কাঠামো প্রস্তাব করার জন্য বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।সংসদে প্রণীত কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি, ২০২০-তে প্রথমবারের মতো গিগ এবং প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল। তাদের সামাজিক সুরক্ষা এবং কল্যাণ সম্পর্কিত বিধানগুলি কোডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শ্রম সচিব বেকারত্বের প্রসঙ্গ টেনে বেকারত্বের হার কমেছে বলে উল্লেখ করেন।২০১৭ সালে বেকারত্বের হার ছিল ছয় শতাংশ। আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩.২ শতাংশে। লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন রেট বাড়ছে, এবং ওয়ার্কার পার্টিসিপেশন রেশিও, যা নির্দেশ করে যে প্রকৃতপক্ষে কতজন লোক নিযুক্ত রয়েছে, তা ৫৮ শতাংশে পৌঁছেছে এবং ক্রমাগত বাড়ছে, বলেই তিনি জানান।