দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের জীবনাবসান, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর

প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ( Manmohan Singh Passes Away ) । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই মনমোহন সিংকে ভর্তি করা হয় দিল্লি এইমসে। জানা যায়, তাঁকে সরাসরি দিল্লি এইমসের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করে, তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এরপরই আসে এই দুঃসংবাদ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮ টা নাগাদ মনমোহন সিংকে ভর্তি করা হয় দিল্লি এইমসে। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার রাজনৈতিক সফর একের পর এক অধ্যায়কে সামনে রাখে। দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের মধ্যে একজন মনমোহন সিং। জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর পদার্পণ রাজ্যসভার সদস্যপদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তথ্য বলছে, ১৯৯১ সালে তিনি রাজ্যসভার সদস্য হন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি বিরোধী দলনেতা ছিলেন।২০০৪ সালের ২২ মে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পর পর ২ বার প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি ২০০৯ সালের ২২ মে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন।

উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, পশ্চিম পাঞ্জাবের গাহে জন্মগ্রহণ করেন মনমোহন সিং। ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্ম। এই গাহে এলাকা যা আজকের পাকিস্তানে রয়েছে। তাঁর পরিবার ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ভারতে চলে আসে। উচ্চ শিক্ষায় তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন অক্সফোর্ডে। অক্সফোর্ড থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর, সিং ১৯৬৬-১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের জন্য কাজ করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তার আমলাতান্ত্রিক কর্মজীবন শুরু করেন যখন ললিত নারায়ণ মিশ্র তাঁকে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে, সিং ভারত সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, যেমন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (১৯৭২-১৯৭৬), রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (১৯৮২-১৯৮৫) এবং পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান। ১৯৯১ সালে, ভারত যখন একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছিল, তখন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, পি ভি নরসিমা রাও, অরাজনৈতিক সিংকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন। এরপর থেকে আর ফিরে তাকাকে হয়নি মনমোহন সিংকে। শুরু হয় রাজনৈতিক আঙিনায় এক জয়যাত্রা।