ভিসা অফিসে আক্রমণে জড়িত বিজেপি, অবশেষে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলল কংগ্রেস

অবশেষে বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিকে নিন্দা জানাতে গিয়ে সরকার ভূমিকা নিয়ে প্রতিবাদী হল কংগ্রেস। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের মুখপাত্র পবিত্র চক্রবর্তী বলেন, সোমবার বাংলাদেশ সরকারি হাইকমিশন অফিসে আক্রমণের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নতুন করে মৌলবাদীদের আক্রমণের মাত্রা বেড়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিনে মুক্তির জন্য মঙ্গলবার এক আইনজীবী রক্তাক্ত হয়েছেন।

এই ঘটনাগুলি পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে কিভাবে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে পরিণত করা যায় সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা জানায় কংগ্রেস। কংগ্রেস এ ঘটনায় তীব্র উদ্বিগ্ন। কংগ্রেস চায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক সরকার। তিনি আরো বলেন, সোমবার বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিসে আক্রমণের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন এভাবে নিন্দা জানানো হয়েছে? ভারতীয় জনতা পার্টির মর্যাদা নাই থাকতে পারে, কিন্তু দেশবাসীর মর্যাদা আছে। মুখ্যমন্ত্রীর এ ধরনের পোস্টের মাধ্যমে দেশবাসীর মর্যাদার উপর আঘাত এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।

আরো বলেন, বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশন অফিসে প্রবেশ করে যারা বাংলাদেশের পতাকা আগুন দিয়ে পুড়েছে তারা আরএসএস ও আরএসএস সমর্থিতরা এবং বিজেপি -র বরিষ্ঠ নেতৃত্ব সহ কার্যকর্তারা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর সহ মন্ত্রীসভার বিভিন্ন সদস্যরা পচার মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে এবং তাদের কথাবার্তার জন্য রাজ্যের মৌলবাদী শক্তিকে উৎসাহিত করেছে এবং বাড়তি সাহায্য।

আরো উদ্বেগ জনক বিষয় হলো রাজ্যের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী প্রচার করলেন বাংলাদেশে নাকি ভারতের শ্যামলী বাস আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু টিআরটিসি চেয়ারম্যান দাবি করলেন বাসটি নাকি দুর্ঘটনায় পড়েছিল। আক্রমণের কোন খবর তাদের কাছে নেই। একজন মন্ত্রী সঠিকভাবে তথ্য না জেনে এ ধরনের প্রচার করা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র।