Bangladeshi Hindus: 'চট্টগ্রামে হিন্দুদের উপরে আক্রমণ সেনার, গণহত্যা শুরু? বিস্ফোরক !
SHARE

ফেসবুকে পোস্টকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামের হাজারি গলি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে বলে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, যৌথ বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। যদিও পালটা ব্যারিস্টার এবং সলিসিটর নিঝুম মজুমদার অভিযোগ করেছেন, ‘চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে ঘরে-ঘরে ঢুকে সেনাবাহিনী হিন্দু ধর্মালম্বীদের হেনস্থা করছে, গ্রেফতার করছে। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সনাতনীরা জেগে উঠুন।’ পুলিশ বা বাংলাদেশির সেনাবাহিনীর তরফে সেইসব বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

ইসকন নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট

পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, চট্টগ্রাম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে দিনকয়েক আগে ইসকন নিয়ে ফেসবুকে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। তা নিয়ে হিন্দুধর্মের মানুষের মধ্যে তুমুল ক্ষোভের সঞ্চার হয়। 

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চট্টগ্রাম পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার ওই ব্যক্তির দোকানে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় যৌথ বাহিনী। সেইসময় যৌথ বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছোড়া হতে থাকে। তারইমধ্যে ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তাতে ক্ষোভের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। ওই ব্যক্তিকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় উন্মত্ত জনতা। সেইসময় আবারও ইট ছোড়া হয়। অ্যাসিডও ছোড়া হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।

ফাঁকা কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে, দাবি পুলিশের

রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। বাধ্য হয়ে যৌথ বাহিনী ফাঁকা কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। তারপরে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, যাঁরা বিশৃঙ্খলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তাঁদের আটক করে অভিযান চালানো হয়। আর সেই ঘটনায় সাতজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী কি গণহত্যা শুরু করেছে?’, প্রশ্ন নিঝুমের

যদিও নিঝুম দাবি করেছেন যে হিন্দুদের উপর সেনাবাহিনী এবং অন্যান্যরা মিলে বর্বরোচিত আক্রমণ চালিয়েছে। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী কি গণহত্যা শুরু করেছে?’ উল্লেখ্য, এক ছাত্রের হত্যার মামলায় নিঝুমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অভিযুক্তের তালিকায় রাখা হয়।


SHARE