নূর হোসেন দিবসে প্রতিবাদ মিছিল করতে গিয়ে মার খেতে হয়েছে আওয়ামি লিগের কর্মী–সমর্থকদের। ঢাকার রাজপথে সেই দৃশ্য দেখেছেন পদ্মাপারের মানুষজন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে এরকম ‘সংগ্রাম’ প্রথম হল। যা নিয়ে নানা মহলে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযোগ, মারধর করার পাশাপাশি আওয়ামি লিগের কর্মীদের গ্রেফতার করাও হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পরেই কড়া বার্তা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামি লিগের সভাপতির দাবি, এভাবে তাঁদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তাঁদের আন্দোলন ও সংগ্রাম আগামী দিনেও চলবে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এই আওয়ামি লিগ দলকেই ফ্যাসিস্ট তকমা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। কোটা সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রক্তক্ষয়ী আকার নেওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত হতে হয় শেখ হাসিনাকে। তারপর রবিবার ঢাকার জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরে এই প্রথম রাজপথে নামে আওয়ামি লিগ। এই কর্মসূচি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মেহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, আওয়ামি লিগকে কোনও মিছিল বা কর্মসূচি করতে দেওয়া যাবে না।
আওয়ামি লিগের কর্মীরা যখন রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান তখন নামানো হয় সেনা। তারপরই আওয়ামি লিগের কর্মীদের মারধর করা হয়। এমনকী এখনও পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আওয়ামি লিগ। এই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। রবিবার রাতে আওয়ামি লিগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ওই বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দলীয় কর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন শেখ হাসিনা। বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় দেশের মানুষের এখন অসহায় পরিস্থিতি। বাংলাদেশের কোথাও মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই। সাধারণ মানুষের কষ্ট নিরসন করতে আওয়ামি লিগ সবসময় সোচ্চার থাকবে।’