1726400925801
SHARE

সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা অধিবেশনে এবং প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে মন্ত্রী বিকাশ বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। এ বিষয় নিয়ে বিধানসভায় কোনো প্রতিবাদ কিংবা চ্যালেঞ্জ করেননি মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। কিন্তু অভিযোগ উঠার ৮ দিন পর বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে চ্যালেঞ্জ করতে সরব হলেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। শনিবার তিনি নিজ চেম্বারে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেন, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বিধানসভা এবং প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে রাজধানীর এডভাইজার চৌমুহনীতে ডাক্তার ইলা লোধের বিল্ডিং নাকি তিনি সাত কোটি টাকার বিনিময়ে ক্রয় করেছে। কিন্তু এটা যদি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন তাঁর কথা অনুযায়ী প্রমাণ করে দেখাতে পারে তাহলে রাজনৈতিক জীবন থেকে সন্ন্যাস নেবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েন। পাশাপাশি দাবি করেন যদি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন তাঁর মন্তব্য প্রমাণ করতে না পারে তাহলে রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানান মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা।

 তিনি আরো বলেন, গত ২৯ জানুয়ারিতে পার্থ সরকার নামে এক ব্যবসায়ী এই জমিটি রেজিস্টার করেছেন। সুতরাং এই জমির সাথে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার নাম জড়িত নেই। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন আরও দাবি করেছেন তেলিয়ামুড়ায় পেট্রোল পাম্প মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার সহধর্মিনীর নামে। মন্ত্রিত্ব পেয়ে তিনি তার স্ত্রীকে এই পেট্রোল পাম্প কিনে দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিকাশ দেববর্মা দাবি করেন, এই পেট্রোল পাম্পের সাথে তাঁর নাম এবং তাঁর স্ত্রী ও ছেলের নাম জড়িত নয়। সুদীপ বাবু আরো অভিযোগ তুলেছেন খোয়াই বেহালা বাড়িতে নাকি মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার ছেলের নামে পেট্রোল পাম্প রয়েছে। সেই কথাও মিথ্যা। গোটা খোয়াই জেলাতেই মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার পরিবারের কোন সদস্যের নামে কোন পেট্রোল পাম্প নেই বলে জানান।

 তিনি আরো বলেন যদি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন প্রমাণ করতে পারে তার কথাই সঠিক তাহলে তিনি রাজনৈতিক জীবন থেকে সন্ন্যাস নেবেন বলে চ্যালেঞ্জ করেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা আরো দুঃখের সাথে বলেন তিনি পেট্রোল পাম্প করতে পারবেন না এবং কোন বিল্ডিং করতে পারবেন না কারণ তিনি জনজাতি! পাল্টা বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন তিনি নাকি মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার মাতৃভাষা ককবরককে অসম্মান করেছেন। তাই বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে রেহাই দেবে না ত্রিপুরার জনজাতি অংশের মানুষ। কারণ আপনারা আমাদের জনজাতি অংশের মানুষকে এবং জনজাতি অংশের ভাই-বোনদের ভালোবাসেন না। তাই আপনারা সরকারে আসতে পারেননি। এমনটাই বলে অভিযোগ তুললেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। মন্ত্রী আরো বলেন, তিনি রাজনীতিতে আসার আগে ৩০-৩৫ বছর তার পরিচয় ছিল সরকারি ঠিকাদার। এখনো ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ওয়ার্ক অর্ডার রয়েছে। কোটি কোটি টাকার ওয়ার্ক অর্ডার রয়েছে।

পাশাপাশি মন্ত্রীর বাবা পোস্ট অফিসে চাকরি করে এবং মা সমাজ শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ দপ্তরে চাকরি করেন, ছোট ভাই ত্রিপুরা সরকারের শিক্ষক। বাবা এবং ঠাকুর দাদার ২০০ কানি জমি রয়েছে। তিনি রাজ্যের ভূমিপুত্র। সুতরাং জনজাতি হয়েছে বলে কি দিল্লিতে ফ্ল্যাট কেনা যাবে না? বড়মুড়া, লেম্বুছড়ায় বাড়ি কিনতে পারবে না? বিধায়ক সুদীপবাবু আপনার তো কোটি কোটি টাকা আছে! আপনার ব্যবসা কি? আপনি কোথা থেকে এসেছেন? আপনার যে কর্নেল চৌমুনিতে বাড়িটা সেটা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! এ টাকা আপনি কোথায় পেয়েছেন? আপনার তো নামে বেনামে আরো কোটি কোটি টাকা আছে। সুদেও টাকা খাটাচ্ছেন। স্ত্রীর নামেও ব্যবসা করছেন। কি উৎস আপনার সেটা মানুষ প্রমাণ করবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সুদীপ রায় বর্মনের একটি অভিযোগ এ দিন মিলেছে সেটা হল লেম্বুছড়ায় মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার জমি। সেই জমির মালিক মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার সহধর্মিনী। মাত্র ৯০ হাজার টাকা দিয়ে নাকি সে জমি কিনেছে বলে দাবি করলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন তাঁর শশুর মশাই জমিদার ছিলেন। এর তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে বলেন টাওয়ার আছে তাঁর সহধর্মিনীর নামে। মন্ত্রী বলেন তার সহধর্মিণীর নামে দিল্লিতে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন


SHARE