৬০০ মিলিয়ন ডলারের বন্ড বাজারে আনার কথা ছিল আদানির। সেই বন্ড এখন আর আনবে না আদানি। আদানি গ্রিনের তরফ থেকে আজ একটি বিবৃতি জারি করে এই কথা জানানো হল। তাতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন একটি ফৌজদারি অভিযোগ জারি করেছে এবং একটি দেওয়ানি অভিযোগ এনেছে। ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অফ নিউইয়র্ক জেলা আদালতে আমাদের বোর্ড সদস্য গৌতম আদানি এবং সাগর আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়ছে। এছাড়াও বিনীত জৈনের বিরুদ্ধেও এই মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সাবসিডিয়ারিগুলি বর্তমানে প্রস্তাবিত মার্কিন ডলার ডিনোমিনেটেড বন্ড অফারগুলির বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, আদানির বিরুদ্ধে ঘুষের মামলার খবর সামনে আসতেই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারে আদানির ডলার বন্ডের দাম পড়ে গিয়েছে। আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনের যে বন্ডের ম্যাচিউরিটি ২০২৭ সালের অগস্টে, সেটার দাম কমেছে ডলারে পাঁচ সেন্টেরও বেশি। এদিকে আদানি ইলেকট্রিসিটি মুম্বইয়ের যে বন্ডের ম্যাচিউরিটি ২০৩০ সালের ফেব্রুয়ারি, সেটির দাম কমেছে প্রায় ৮ সেন্ট। এদিকে আদানি ট্রান্সমিশনের বন্ডের দাম পাঁচ সেন্টেরও বেশি কমে ৮০ সেন্টে গিয়ে ঠেকেছে বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে। ২০২৩ সালে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট পরবর্তী ধাক্কার পর এবারই এতটা দাম কমল আদানির বন্ডের।
উল্লেখ্য, ভারতের সরকারি আধিকারিকদের ২৫ কোটি ডলারের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া অভিযোগ উঠেছে আদানির বিরুদ্ধে। এই আবহে মার্কিন মুলুকে একটি মামলায় ভাইপো সহ অভিযুক্ত হয়েছেন ধনকুবের গৌতম আদানি। এই আবহে গৌতন আদানি এবং তাঁর ভাইপো সহ বেশ কয়েকজন ভারতীয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা এবং কর্মকর্তাদের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনে আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। জানা গিয়েছে এই মামলায় গৌতম আদানির পাশাপাশি সাগর আদানি, আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের নির্বাহী এবং আজিউর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের নির্বাহী সিরিল কাবানেসকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।