সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এর প্রকোপে। এই মুহূর্তে অতিমারীর দাপট ম্লান হলেও তার প্রভাব কিন্তু আজও অদৃশ্য নয়। করোনার ভয়াবহ দিনগুলো এখনও সকলের স্মৃতিতে টাটকা। আবারও কি ফিরে আসতে পারে সেই আতঙ্ক? শঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে করোনার নয়া প্রজাতি এক্সইসি। মনে করা হচ্ছে, কয়েক মাসের মধ্যেই ইউরোপ ও আমেরিকায় সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী করে তুলবে এই ভ্যারিয়্যান্ট! ইতিমধ্যেই তা দ্রুত ছড়াচ্ছে।
গত জুনেই জার্মানিতে প্রথম দেখা মিলেছিল এক্সইসির। মাস তিনেকের মধ্যেই তার দেখা মিলেছে ১৩টি দেশে। অচিরেই তার প্রকোপ আরও ছড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, বহু রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, কোভিড টিকাকেও হারিয়ে দিতে পারে এই ভ্যারিয়্যান্ট। ঠিক কি এই এক্সইসি? ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের এক সাবভ্যারিয়্যান্ট এটি। কেএস.১.১ ও কেপি.৩.৩ এই দুই ভ্যারিয়্যান্টের মিশ্রণ। যেভাবে এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে তাতে আগামিদিনে সংক্রমণ আরও বাড়বে, এই আশঙ্কা বাড়ছে। ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই এই প্রজাতির দৌরাত্ম্য রুখতে বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, সার্স-কোভ-২ নামের ভাইরাসটি সম্ভবত এমন এক পদ্ধতিতে মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে যা একেবারেই অভাবনীয়। মনে করা হচ্ছে, ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সাহায্যে তা ‘খিড়কির দরজা’ দিয়ে দখল করছে মস্তিষ্ক। যার ধাক্কায় করোনা রোগীদের মধ্যে নানা স্নায়ুর অসুখের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে গত জুন ও জুলাই মাসে ৯০৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সব মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন করে হানাদারি শুরু করেছে করোনার নয়া ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে ভয় ধরাচ্ছে নয়া ভ্যারিয়্যান্ট।