দুই জন তাঁকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ করেছে। এখানেই শেষ নয়, তাঁর গোপণাঙ্গে লাঠি ও লঙ্কার গুঁড়োও ঢোকানো হয়। ভয়ঙ্কর অভিযোগ করলেন উত্তর প্রদেশের জালাউনে এক নার্স ও তাঁর পরিবার। তবে, তাদের অভিযোগের সঙ্গে মিলছে না পুলিশের বয়ান। পুলিশের মতে, এই ঘটনার পিছনে এক ত্রিকোন প্রেমের গল্প রয়েছে। তাদের দাবি, নির্যাতিতা নার্সের অন্য এক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ওই পুরুষ এবং তার পরিবারের সদস্যরাই ওই নার্সকে মারধর করেছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ওই নার্স কিছু গুরুতর অভিযোগও করেছেন। সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতে, একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্তও করা হচ্ছে।
চুরখী থানা এলাকার এক হাসপাতালে কাজ করেন তাঁর স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা নাগাদ, তিনি তাঁর স্কুটারে চড়ে কাজে যাচ্ছিলেন। সেই সময়, কিছু লোক আচমকা তাঁর পথ আটকায়। এর পর, তাঁকে ঝোপের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। এক ব্যক্তি, তাঁর ভাগ্নে এবং আরও কিছু লোক তাঁকে মারধর করে। এর পর চারজন তাঁকে চেপে ধরে এবং দুই জন মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে, তাঁর গোপনাঙ্গে একটি লাঠি ও লঙ্কার গুঁড়ো ঢুকিয়ে দেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, প্রদীপ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, এক মহিলাকে মারধর করা হয়েছে এমন খবর এসেছিল পুলিশের কাচে। ঘটনাস্থলে তারা একটি দল পাঠিয়েছিলেন। গণধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে নির্যাতিতার মেডিকেল চেক-আপ করানো হয়। তার পর, মহিলাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
প্রদীপ কুমার ভার্মা বলেন, ‘ওই গ্রামেরই এক পুরুষের সঙ্গে নির্যাতিতার পরকীয়া চলছিল। লোকটি এবং তার পরিবার তাঁকে মারধর করে। পুলিশের একটি দল তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি কিছু গুরুতর অভিযোগ করেছেন। আমরা এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছি।’