রাজ্য জুড়ে চলছে পেট্রোল সঙ্কট। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার থেকে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হয়। রবিবার থেকে পেট্রোল পাম্প গুলিতে রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পেট্রোল প্রদান করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পেট্রোল নিয়ে যেন কোন ধরনের কালোবাজারি না হয় তার জন্য ময়দানে নামলেন খোদ খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এইদিন তিনি রাজধানীর বেশ কয়েকটি পেট্রোল পাম্প পরিদর্শন করেন। পেট্রোল নিয়ে যেন কালোবাজারি না হয় তার জন্য পেট্রোল পাম্প মালিকদের সতর্ক করে দেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান আসামের লামডিং বদরপুর এলাকায় রেল ট্র্যাকের ক্ষতি হয়েছে। তাই রাজ্যে পেট্রোল ডিজেলের চাহিদা অনুযায়ী যোগানের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যাঘাত হচ্ছে।
খাদ্য দপ্তর থেকে তাই পেট্রোল প্রদানের ক্ষেত্রে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই রেশনিং ব্যবস্থা জারি থাকবে। রেশনিং ব্যবস্থায় প্রতিদিন বাইকে ২০০ টাকার, অটোতে ৪০০ টাকার এবং গাড়িতে ১ হাজার টাকার পেট্রোল প্রদান করা হচ্ছে। তাই তিনি নিজে এইদিন পেট্রোল পাম্প পরিদর্শনে বেরিয়েছেন। ১৪ নভেম্বর থেকে চাহিদা অনুযায়ী পেট্রোলের যোগান স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি এইদিন পেট্রোল পাম্প মালিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন কোন পেট্রোল পাম্পে কালোবাজারির সন্ধান পাওয়া গেলে সেই পেট্রোল পাম্প সাথে সাথে বন্ধ করে দেওয়া হবে।