যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবিযুক্ত প্ল্যাকার্ড ও পোস্টারসহ অন্তত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক বিনষ্টের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে, তারা এই অপতৎপরতার পরিকল্পনা করেছেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ পর্যন্ত এই কুচক্রী মহলের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি।
তাদের হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণ উসকানিমূলক পোস্টার, ছবি, প্ল্যাকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মহলের যে কোনো চক্রান্ত রুখে দেওয়ার জন্য তৎপর রয়েছে ডিএমপি।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আজ, রবিবার প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল আওয়ামি লিগ। কিন্তু সেই প্রতিবাদ মিছিল করার শুরুতেই ব্যাপক মারধর করা হয়েছে আওয়ামি লিগের কর্মী–সমর্থকদের। এই ঘটনায় আবার প্রশ্ন উঠে গেল, বাংলাদেশে কি গণতন্ত্র ফিরেছে? মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ঢাকায় শহিদ নূর হোসেন চত্বরে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল আওয়ামি লিগ। এই ঘটনার পর মিছিল হতেই দিল না পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দাবি, এই কর্মসূচির জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে এই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজধানী ঢাকা। নূর হোসেন চত্বর এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামি লিগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই বিক্ষোভ ও হামলার পিছনে বিএনপি এবং যুবদলের লোকজন রয়েছে বলে দাবি আওয়ামি লিগের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, সেনা ও পুলিশের সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি)। আওয়ামি লিগের যুবনেতা নূর হোসেন ১৯৮৭ সালে ১০ নভেম্বর তারিখে নিহত হয়েছিলেন। তখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল নূরের। তাই নূর হোসেন চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তারই মধ্যে সেখান থেকে তাদের কর্মী–সমর্থকদের তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ ও সেনা বলে দাবি করেছে আওয়ামি লিগ।
অন্যদিকে গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তারপর এটাই ছিল প্রথম প্রতিবাদ মিছিল। যা রাজনৈতিক কর্মসূচি। কিন্তু সেই প্রতিবাদ মিছিলের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। নানা এলাকায় দলের কর্মী–সমর্থকদের আক্রমণ করা ছাড়াও গাড়ি এবং মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে আওয়ামি লিগ। যদিও এই প্রতিবাদ মিছিলের প্রাক্কালে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার অনুমতি দেয়নি তা করার। এই বিষয়ে ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আওয়ামি লিগের বর্তমান অবস্থা একটা ফ্যাসিস্ট পার্টি। তাই ফ্যাসিস্ট পার্টিকে কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না প্রতিবাদ মিছিল করতে।’