রাজ্যে আয়ুর্বেদিক ঔষধ কেনার জন্য ১.৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার। শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর ফাউন্ডেশন রাজ্যে একটি আয়ুর্বেদিক কলেজ স্থাপন করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চিকিৎসা পরিষেবার উন্নয়নকে ব্যাপক অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে এই সরকার। আগামীতে ত্রিপুরা রাজ্যে একটি স্বাস্থ্য হাব গড়ে তোলার লক্ষ্যেও কাজ করছে বর্তমান সরকার।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, একটা সময় ছিল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রকৃতিতেই আমাদের জন্ম এবং প্রকৃতিতে রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। আর এখানেই চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে। একসময় নালন্দা ও তক্ষশীলার মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার জন্য বিদেশ থেকে পড়ুয়ারা ভারতে আসত। কিন্তু এখন আমরা আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাঠাতে পারলে গর্বিত বোধ করি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব নেওয়ার পরে মানুষের চিন্তাভাবনা বদলে যেতে শুরু করেছে। তিনি আয়ুষ মন্ত্রকের সূচনা করেন এবং অ্যালোপ্যাথি, আয়ুর্বেদ এবং হোমিওপ্যাথি সহ ঔষধের সমস্ত শাখাকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরের মন্ত্রীও প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব তুলে ধরেন। আয়ুর্বেদে বিভিন্ন ধরণের ল্যাব রয়েছে এবং একটি ওপিডিও রয়েছে, যেখানে রোগীরা নিয়মিত পরিষেবা নিতে আসেন। আমি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। সম্প্রতি, আমি বলেছি যে আমরা রাজ্যে একটি আয়ুর্বেদিক বা হোমিওপ্যাথি কলেজ প্রতিষ্ঠা করবো। আমি স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তিনি আমাকে অবহিত করেছেন শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর ফাউন্ডেশন আয়ুর্বেদিক কলেজ গড়ে তোলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এজন্য আমাদের অবশ্যই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং রবিশঙ্কর ফাউন্ডেশন বলেছে এটা করা সম্ভব। তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করার পরে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।