সাড়ে চার বছর আগে যেখানে ছিল ভারত এবং চিনের বাহিনী, সেখানেই ফিরে যাওয়া হয়েছে। এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে’তে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চিনের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছিল, তারপর থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর একাধিক জায়গা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। আলোচনার মাধ্যমে কয়েকটি জায়গায় সমাধানসূত্র মিললেও কয়েকটি এলাকা নিয়ে সমস্যা চলছিল। যদিও শেষপর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমেই ২০২০ সালে ভারত এবং চিন যেখানে ছিল, সেখানেই ফিরে গিয়েছে নয়াদিল্লি এবং বেজিং।
সেই বিষয়টি নিয়ে ‘এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিট’-এ ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘টহলদারি নিয়ে আমরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি। আমরা ২০২০ সালের জায়গায় চলে গিয়েছি। আর সেটার সঙ্গে আপনারা বলতে পারেন যে চিনের সঙ্গে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই বিস্তারিত তথ্য সামনে আসবে।’
২০২০-র জায়গায় ফিরেছি, দাবি জয়শংকরের
ওই অনুষ্ঠানে জয়শংকর আরও বলেন, ‘এমন কয়েকটি জায়গা ছিল, যেখানে ২০২০ সালের পরে ওরা (চিন) আমাদের আটকে দিয়েছিল। আমরা ওদের (চিন) আটকে দিয়েছিল। এখন আমরা এমন একটা ঐক্যমতে পৌঁছেছি যেটার ভিত্তিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমরা (ভারত এবং চিন) যেখানে টহল দিত, সেখানেই দেবে।’
ধৈর্যশীল কূটনীতির জয়, দাবি জয়শংকরের
কিন্তু এতদিন ধরে যে সংঘাত চলছিল, সেটার কীভাবে সমাধান হল? পুরো বিষয়টির পিছনে কূটনৈতিক অধ্যবসায় আছে বলে দাবি করেন জয়শংকর। ওই সামিটে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘(আলোচনার) বিভিন্ন স্তরে লোকজন প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিল। আমরা সবসময় একটা জিনিস বলে এসেছি যে একদিকে আমাদের পালটা বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আর আমরা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আলোচনা করছি। অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও যতটা জটিল হওয়ার কথা ছিল, তার থেকেও বেশি কঠিন ছিল পুরো পরিস্থিতি।
যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত চিনের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত এক আধিকারিক অবশ্য জানিয়েছেন, সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারত এবং চিন ঐক্যমতে পৌঁছানোর ফলে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেল। রাশিয়ার কাজানে এবারের ব্রিকস সম্মেলন হচ্ছে। সেখানে যাচ্ছেন মোদী এবং জিনপিং।