মেলার মাঠে ব্যবসায়ী খুন, মনুবাজার থানায় পুলিশের নির্যাতনে বাদল ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু, কার্নিভালে আক্রান্ত চার শিশু, মুখ্যমন্ত্রী এলাকায় বন্দুক উঁচিয়ে বিজেপি -র বুথ সভাপতিকে প্রাননাশের হুমকি, রানীরবাজার, গন্ডাছড়া, কদমতলা, যুবরাজনগর এবং পানি সাগর সহ বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া এবং মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব সরাসরি অভিযোগ করছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে।
এই অভিযোগ খন্ডন করলেন রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি এলাকায় বিজেপির সদস্যতা অভিযানে বের হয়ে এমনটা দাবি করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু দেখতে হবে পুলিশের ভূমিকা কি ছিল। বর্তমানে যেসব ঘটনা ঘটছে সেসব ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাচ্ছে পুলিশ। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মানুষের নিরাপত্তার দিকে। কিন্তু কেউ কেউ দাবি করছে রাজ্যে নাকি আইনশৃঙ্খলা অবনতি হয়েছে। তথ্য বলছে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেনি। বরং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বর্তমানে ভালো স্থানে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী গোয়ান্দা বিভাগের বিষয়ে মুখ খুলে বলেন, গোয়েন্দা বিভাগের যদি কোনরকম খামতি থাকে তাহলে নিশ্চয়ই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সদস্যতা অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি সদস্যতা অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে। ১২ লক্ষ সদস্যতা অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রদেশ বিজেপি -র কার্যকর্তারা মানুষের কাছে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৬ লক্ষ সদস্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার ভোটার সদস্যতা গ্রহন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সদস্যতা অভিযানে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ অন্যান্য কার্যকর্তারা।