বিয়ের ১১ বছর পর গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু। ঘটনা মেলাঘর হাসপাতাল রোড এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১১ বছর আগে মেলাঘর হাসপাতাল রোড সংলগ্ন নিতাই সাহার সঙ্গে অমরপুর নতুন বাজার মিঠু রানী সঙ্গে বিবাহ হয়। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে গৃহবধূ মিঠু রানী সাহার উপর তার স্বামী, শাশুড়ি এবং জালেরা সবসময় অত্যাচার করত।
অত্যাচার সহ্য করেও গৃহবধূ মিঠু রানী সাহা স্বামীর সংসার করতে আগ্রহী ছিল। গৃহবধূর উপর স্বামী এবং শাশুড়ি প্রতিনিয়ত এভাবে নির্যাতন চালিয়ে গেছে। শুক্রবার রাতে মিঠু রানীর ভাই মিঠু রানী সাহা ফোন করলে জানতে পারে তাকে প্রচন্ড মারধর করে তার পা ভেঙ্গে ফেলে। পরবর্তী সময়ে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজনদের। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে মেলাঘর থানার পুলিশ। পুলিশ আসার পর পুলিশের সামনেই অভিযুক্তরা গৃহবধুর বাপের বাড়ি লোকজনদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযুক্ত স্বামী এবং গৃহবধুর জালকে থানায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসী দাবি তুলে অভিযুক্তদের যাতে কঠোর শাস্তি হয়। এদিকে গৃহবধূর ভাই রামকৃষ্ণ সাহা জানান দীর্ঘ দশ বছর ধরে তার বোন এভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। শুক্রবার রাতেও তাকে তার শাশুড়ি সহ সুশান্ত এবং লক্ষণ নামে দুই যুবক মারধর করে হাত-পা ভেঙে ফেলে। অবশেষে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এই ঘটনা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না সভ্য সমাজ। মৃত গৃহবধূর ভাই দোষীদের ফাঁসির দাবি করলেন এই দিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে।