লোহার ব্রিজ ভেঙ্গে নদীতে পড়ল লরি। আহত হল এক ব্যক্তি। ঘটনা গণ্ডাছড়া মহকুমায়। জানা যায় গণ্ডাছড়ার ৬০ কার্ড ও ৩০ কার্ডের মাঝে রয়েছে শর্মা নদী। শর্মা নদীর উপর রয়েছে একটি লোহার ব্রিজ। এলাকাবাসিদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল লোহার ব্রিজের জায়গায় একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হোক। ৫ বছর পূর্বে পূর্ত দপ্তর থেকে পাকা ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নির্মাণ কাজের বরাত দেওয়া হয় রাজীব প্রসাদ নামে এক ঠিকেদারকে। দীর্ঘ ৫ বছরে পাকা ব্রিজ নির্মাণের কাজ ৫০ শতাংশও শেষ হয় নি।
যদিও ব্রিজ নির্মাণের জন্য নির্ধারিত সময় সীমা অনেক আগেই শেষ হয়ে যায়। এরই মধ্যে শনিবার TR-01AT-1860 নাম্বারের একটি ১৬ চাকার লরি গণ্ডাছড়া থেকে পাথর নিয়ে ৩০ কার্ড এলাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পাথর বোঝাই লরিটি শর্মা নদীর উপর থাকা লোহার ব্রিজে উঠলে হুরমুরিয়ে ভেঙ্গে পরে ব্রিজটি। ব্রিজ ভেঙ্গে পাথর বোঝাই গাড়িটি শর্মা নদীতে পরে যায়। সেই সময় ব্রিজের উপর ছিলেন ৬০ কার্ড এলাকার বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস। তিনিও গুরুতর ভাবে আহত হন। আহত চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে গণ্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান ৮ থেকে ৯ বছর পূর্বে একবার লোহার ব্রিজটি ভেঙ্গে পরে যায়। পরবর্তী সময় স্থানীয়দের দাবি মেনে পুনঃরায় লোহার ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়া হয়। শনিবার সেই ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়েছে।
এতে করে গণ্ডাছড়া ও অমরপুরের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই ব্রিজের উপর দিয়ে গণ্ডাছড়া কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে আশা যাওয়া করে। ফলে সকলকে বর্তমানে সমস্যায় পড়তে হবে। তিনি দাবি জানান এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিজটি সারাই করে দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি তিনি দাবি জানান নির্মীয়মাণ পাকা ব্রিজের নির্মাণ কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করা হোক।পূর্ত দপ্তরের এক আধিকারিক জানান পাথর বোঝাই গাড়িটিতে ওভার লোড ছিল।
কিন্তু লোহার ব্রিজটির ১০ টন লোড নেওয়ার ক্ষমতা ছিল। ফলে পাথর বোঝাই গাড়িটি ব্রিজের উপর উঠার ফলে ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়েছে। পাথর বোঝাই গাড়ির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি এক সপ্তাহের মধ্যে লোহার ব্রিজটি সারাই করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। শর্মা নদীর উপর থাকা লোহার ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ার ফলে গণ্ডাছড়া মহকুমার লোকজনদের সমস্যায় পড়তে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার পূর্ত দপ্তর দ্রুততার সাথে ভেঙ্গে পড়া লোহার ব্রিজটি সারাই করার উদ্যোগ গ্রহণ করে কিনা।