দশ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় চলছে বিক্ষোভ। তিলোত্তমার ঘটনার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষা সহ দশ দফা দাবি জানিয়ে অনশন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এবার আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে ময়দানে সিনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক একসঙ্গে গণ ইস্তফা দিলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে ইস্তফা দিলেন সিনিয়ররা। তাৎপর্যপূর্ণ ছবি দেখা গেল এরপর। সিনিয়র ডাক্তাররা যখন গণইস্তফা দিয়ে বেরলেন সেই সময় করতালি দিয়ে তাঁদের অভিবাদন জানালেন জুনিয়ররা।
তবে এতজন চিকিৎসক একসঙ্গে গণ ইস্তফা দিলে হাসপাতাল কীভাবে চলবে? আদৌ কি এভাবে ইস্তফা দেওয়া সম্ভব? বিষয়টিকে প্রতীকী প্রতিবাদ বলাই যায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতেই প্রতিবাদের এই ঢেউ আছড়ে পড়ল বলাই যায়।
দেখা যাচ্ছে, যত বেশি এই আমরণ অনশনের আন্দোলনকে কটাক্ষ করা হচ্ছে, তত বেশি যেন তা চিকিৎসকদের মধ্যে বিরক্তি তৈরি করছে। অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। তার ফলই এই গণইস্তফা। সূত্রের খবর, শুধু আরজি কর নয়, কিছুক্ষণ পর এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরাও পথে নামতে পারেন।
উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনার পর থেকেই নিজেদের সুরক্ষার দাবি নিয়ে সরব হয়েছিলেন ডাক্তাররা। কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। অভিযোগ, করতে থাকেন একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হলেও পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে।
এরই মধ্যে অভিযোগ ওঠে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে রোগীর পরিজনদের দ্বারা আক্রান্ত হন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। এরপর আন্দোলন আরও জোরাল হতে শুরু করে। বর্তমানে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থানে বসেছেন সাত জুনিয়র ডাক্তার। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার অনশনে সামিল হয়েছেন। এই আবহে সিনিয়র চিকিৎসকদের এই পদক্ষেপ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।