আগরতলা : দুর্গাপূজার চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজের অভিযোগ উঠল এক ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তারপর চাঁদাবাজি ঘিরে দুই অংশের মানুষের মধ্যে শুরু হয় খন্ড যুদ্ধ। এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে উত্তর জেলার কদমতলা ব্লক সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জানা যায় এইদিন একটি গাড়ি রোগী নিয়ে বহিঃরাজ্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। তারপর গাড়ি চালকের কাছে ৫০০০ টাকা দাবি করে পূজা কমিটির সদস্যরা। তখন গাড়ি চালক বলে এত টাকা তিনি দিতে পারবে না। করে। গাড়ির চালক মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে অস্বীকার করে।
তখন ইন্ডিয়ান ক্লাবের সদস্যরা গাড়ির চালক সহ গাড়িতে থাকা লোকজনদের মারধর করে বলে অভিযোগ। তারপর সেই গাড়ির চালকের পক্ষ হয়ে এলাকার কিছু পুরুষ মহিলা এসে ক্লাবে আশপাশ এলাকার বাড়ি ঘরে প্রবেশ করে পুরুষ মহিলা সহ শিশুদের পর্যন্ত মারধর করে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি এতটা উত্তেজিত হয়ে উঠে যে কদমতলা থানা এলাকায় চলে খন্ড যুদ্ধ। শেষ পর্যন্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মৃদু লাঠিচার্জ শুরু করে। ঘটনার খবর পেয়ে উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানু লাল সাহা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গোটা এলাকার পুলিশ এবং টিএসআর দিয়ে মোড়ে নেওয়া হয়।
পুলিশ নির্মলেন্দু সেন এবং দ্বীপজয় নাথ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারপর এলাকার কিছু মানুষ থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানায়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও কিছুটা থমথমে রয়েছে। উল্লেখ্য, এখানে কিছু সংখ্যা লঘু অংশের মানুষ পরিস্থিতি এদের উত্তপ্ত করার জন্য লাঠিসাটা নিয়ে ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে। সাধারণ মানুষের উপর তারা আক্রমণ চালিয়েছে।
এখন দেখার বিষয় পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। অভিযুক্তদের ধরতে তাদের দাবি করছে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ। জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী জানান দুর্গা পুজার চাঁদা সংগ্রহ করাকে কেন্দ্র করে দুইটি সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। পুলিশ দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উভয় সম্প্রদায়ের লোকদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করা হবে।
দুইটি বাড়িতে ভাংচুর করা হয়েছে। একটি বিউটি পার্লার ভাংচুর করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সকলের প্রতি এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান। বর্তমানে এলাকায় বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জানা গেছে এই ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার জন্য এক জনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। পাশাপাশি নতুন করে এলাকায় যেন অশান্তি না ছড়ায়, সেইদিকে নজর রাখছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজ্য জুড়ে চলছে দুর্গা পুজার চাঁদার জন্য জুলুমবাজি। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ক্লাব গুলির জুলুমবাজির জেরে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ।