রাজ্যে ৩৫ বছর ধরে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করে স্বৈরাচারী শাসন চালিয়েছে বাম কংগ্রেস দল। তখনকার বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের উপর খুন, ধর্ষণ, হামলা, হুজ্জতি ছিলো নিত্যদিনের ঘটনা। মিথ্যা বলা, চক্রান্ত করা ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য কংগ্রেস ও সিপিএম একে অপরের সমার্থক। জনগণ ইতিমধ্যে সিপিএম ও কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
রাজ্যে শান্তির পরিবেশ বিনষ্টকারী বাম-কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। ভারতীয় জনতা পার্টি, সদর জেলা কমিটির উদ্যোগে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সংবাদ মাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, বহুদিন ধরেই বিরোধীরা নানা ধরণের উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। তার জবাব দিতে আজ প্রচুর সংখ্যায় কার্যকর্তাগণ মাঠে নেমেছেন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে আজ সবাই গর্জে উঠেছেন। শুধু আগরতলা ও আশপাশ এলাকা থেকে কার্যকর্তাগণ এই প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছেন। অন্যান্য জায়গাতেও মন্ডলে মন্ডলে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি করা হচ্ছে। মানুষকে মিথ্যা বলা, চক্রান্ত করা ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে একে অপরের সমার্থক সিপিএম ও কংগ্রেস। এই কর্মসূচি থেকে আমরা হুশিয়ারি দিচ্ছি আগামীদিন তারা যাতে এধরণের অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকে।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যতগুলি নির্বাচন হচ্ছে সবখানে আমরা জয়ী হচ্ছি। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর সকলের বিশ্বাস রয়েছে। আমাদের সরকার ও পার্টি সবসময় মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছে। এই সরকার স্বচ্ছতার সরকার।
সেই জায়গায় বিরোধীরা শুধু মিথ্যা প্রচার করে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এতে তারা কিছু অর্জন করতে পারবে না। মানুষ আর সিপিএম ও কংগ্রেসকে বিশ্বাস করে না এবং নির্বাচনের ফলাফলই দেখিয়ে দিয়েছে যে জনগণ তাদের সর্বতোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিন এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত, পাপিয়া দত্ত সহ দলের অন্যান্য বিধায়ক, মন্ত্রী ও শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রতিবাদ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।