9eb55d2c ebbc 4458 9538 2685db3dee432
SHARE

রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের যে বক্তব্য, সেই বক্তব্য থেকে তাদের নীতিগত অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তাদের সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে তাদের যে ভূমিকা ছিল, বর্তমানে তারা তার থেকে অনেক দূর সরে এসেছে। এই ধরনের অবস্থান পরিবর্তন শুধুমাত্র মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য। তারা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের সামনে ত্রিপুরা রাজ্য এবং রাজ্যের মানুষকে যেভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

 তাদের যে রাজনৈতিক অবস্থান তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের বক্তব্য গুলো যথেষ্ট স্পর্শকাতর। রাজ্যে তারা একটা অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। তারা জল ঘোলা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। সরকার যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করছে, তাতে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে তারা। তারা জনস্বার্থে রাজনীতি করছে না। তারা বুঝতে পারছে জনগণ তাদের কাছ থেকে সরে গেছে। জনগণ তাদের সাথে নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তারা অনেকটা পিছিয়ে গেছে।

অতীতে তারা যেভাবে জনগণের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে রাখত, সেই ভাবে বর্তমানে তারা জনগণের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারছে না। তারা বুঝতে পারছে জনগণের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েমের চেষ্টা আর সফল হবে না। মানুষ প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছে।

ফলে যেকোনো বিষয়ে মানুষ মুখ খুলতে পারছে। যেটা বাম জামানায় হত না। বুধবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য। সাংবাদিক সম্মেলনের তিনি আরো বলেন বিরোধীরা মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নবেন্দু ভট্টাচার্য এই দিন তথ্য তুলে ধরে দাবি করেন বাম আমলে নারী নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়েছে। বিরোধীরা বিভিন্ন সময় প্রচার করছে রাজ্যের বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ড্রাগসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

নবেন্দু ভট্টাচার্য দাবি করেন বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ধরপাকড় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিষয়টি বেশি প্রচারে আসছে। বিজেপিও চায় বিষয়টি প্রচারে আসুক। পুরানো তথ্য তুলে ধরে নবেন্দু ভট্টাচার্য দাবি করেন বাম আমলেও রাজ্যে ড্রাগসের প্রকোপ ছিল। সেই সময় পুলিশকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেওয়া হতো না। কারণ সেই সময় তৎকালীন শাসক দলের নেতারা রসদ সংগ্রহ করতেন। তৎকালীন সময়ে গ্রামীণ এলাকায় তেমন কোন পাকা বাড়ি ছিল না।

যদি কোন গ্রামে একটি পাকা বাড়ি দেখা যেত, তাহলে নিশ্চিত বলা যেত এটা সিপিআইএম-এর পার্টি অফিস। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর নেশা কারবারের সাথে যুক্ত অনেকে রাজ্য থেকে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে যারা বিরোধী দলে রয়েছেন তারা নেশা কারবারীদের কাছ থেকে রসদ সংগ্রহ করতে পারছেন না। তাই তারা কাজ নেই খাদ্য নেই বলে প্রচার করছেন।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ করছে। নবেন্দু ভট্টাচার্য এদিন দাবি করেন বন্যা পরিস্থিতি চলাকালীন সময় সর্বদলীয় বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে বলার মত অবস্থায় ছিল না বিরোধীরা। কারণ সেই সময় মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছেই ছিল না বিরোধীদের। সেই সময় সরকারের পাশাপাশি বিজেপি দলের কার্যকরতারা বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে ছুটে গিয়েছিল। বিজেপি দলের কার্যকর্তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব মোর্চার সভাপতি সুশান্ত দেব সহ অন্যান্যরা।


SHARE