পূজায় রেশন কার্ড হোল্ডারকে বিনা মূল্যে ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ময়দা ও ৫০০ সুজি প্রদান করা হবে : সুশান্ত

খাদ্য ও জনসংভরন দপ্তরের পক্ষ থেকে দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে সমগ্র রাজ্যের ৯ লক্ষ ৮৩ হাজার রেশন কার্ড হোল্ডারকে বিনা মূল্যে ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ময়দা ও ৫০০ সুজি প্রদান করা হবে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী সভার বৈঠকে খাদ্য দপ্তর থেকে এই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রীসভার সদস্যরা সেই প্রস্তাবে সম্মতি প্রদান করেন। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী

তিনি আরও জানান রাজ্য বাসিকে বিনা মূল্যে চিনি, ময়দা ও সুজি প্রদান করতে খাদ্য দপ্তরের মোট ব্যয় হবে ৬ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। প্রতিবার দুর্গা পুজার সময় চিনি, ময়দা ও সুজি প্রদান করা হয়। কিন্তু এইবার প্রথম বিনামূল্যে চিনি, ময়দা ও সুজি প্রদান করা হবে। ইতিমধ্যে রাজ্যে ৩ হাজার মেট্রিক টন চিনি পৌঁছে গেছে।

অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে রেশনের মাধ্যমে চিনি, ময়দা ও সুজি প্রদান করা হবে। খাদ্য ও জনসংভরন দপ্তরের উদ্যোগে ৩০ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে আলোচনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এই কর্মসূচির রূপরেখা ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়ে গেছে। দীর্ঘ বছর ধরে কাগজের রেশন কার্ড চালু রয়েছে।

এই রেশন কার্ড গুলিকে পিভিসি কার্ডে পরিণত করা হবে। ইতিমধ্যে তার কাজ শুরু হয়ে গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানে পিভিসি রেশন কার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আগরতলা পুর নিগমের সকল রেশন কার্ড হোল্ডারকে পিভিসি রেশন কার্ড প্রদান করা হবে। পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সমগ্র রাজ্যের রেশন কার্ড হোল্ডারকে পিভিসি রেশন কার্ড প্রদান করা হবে। পাশাপাশি প্রতি তিন মাস পর পর ভোক্তা সংবাদ নামে একটা জার্নাল প্রকাশ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী তার সুচনা করবেন বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

খাদ্য দপ্তরের অধিন ৬২৫ জন শ্রমিক রয়েছে। এই শ্রমিকদের এগ্রেশিয়া হিসাবে ২ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে পুজার বোনাস হিসাবে। ৩০ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিকদের হাতে এই পূজা বোনাস তুলে দেবেন বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার ও খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক নির্মল অধিকারি।