বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন। এদিন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে মূল অনুষ্ঠানটি হয় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের সুচনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 তারপর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহণ করেছিলেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়। এত বছর ধরে ওনার বিষয়ে কাউকে জানতে দেওয়া হয় নি। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের বিষয়ে সকলে যেন জানতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একাত্ম মাবন বাদের রচয়িতা ছিলেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়। তিনি সব সময় বলতেন যে কোন সরকারি প্রকল্পের সুফল যেন সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌছায়। তাই বর্তমান সরকারের সময় সকল প্রকল্প সমাজের অন্তিম ব্যক্তি অর্থাৎ গরীব মানুষের জন্য করা হয়। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের চিন্তা ধারা অনুযায়ী এইটা করা হয়। কেন্দ্রীয় রাজ্য সরকারের সকল প্রকল্প যেন ১০০ শতাংশ সফল হয় তার জন্য কিছুদিন পূর্বে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান করা হয়েছে রাজ্যে। দেশ কি ভাবে চলবে সেই বিষয়ে সর্বদা ভাবতেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়।

 তিনি সর্বদা বলতেন নিজেদের সৃষ্টিকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যের উপর নির্ভর করে চললে কোন দিন উন্নয়ন হবে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় সব সময় বলতেন একাত্ম মানব বাদের প্রয়োজন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উগ্রবাদীদের সমস্যা ছিল। সেই সমস্যার নিরসন হয়েছে বর্তমানে। শান্তি সম্প্রিতি না থাকলে কোন রাজ্যের উন্নয়ন হবে না। সেই দিশায় কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি সম্প্রীতি রয়েছে বলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এতটা উন্নয়ন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে হিরা মডেল দিয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমানে যে পরিস্থিতি সেই জায়গায় দাড়িয়ে ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আগামী দিনে কেমন হবে তা নিয়ে এইদিন সংশয় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এইদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পিকে চক্রবর্তী, ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলি, রাজ্য ভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। এদিনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও।