প্রথমবার পুজোয় মেয়ে নেই কাছে। তাঁর নৃশংস পরিণতির সুবিচার যতদিন না হচ্ছে, ততদিন স্বস্তি নেই। প্রতি মুহূর্তে কাটে যন্ত্রণায়। ব্যক্তিগত শোক পিছনে সরিয়ে রেখে বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিলও হয়েছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের। শরীর এবং
মন দুর্বল। কিন্তু তাতে কী? মেয়েকে হারানোর শোক তো মুছে যাওয়ার নয় কোনওভাবেই। তাই রবিবার, উমা বিদায়ের দিন যখন মেয়ের সহকর্মীরা অরন্ধনের ডাক দিয়েছেন, তখন সেই কর্মসূচিতেও সমানভাবে অংশ নিয়েছে অভয়ার পরিবার। এদিন অরন্ধন পালন করলেন তাঁরাও। অসুস্থ শরীর নিয়েও বাবা বললেন, ”ওরা বলেছিল, আমাদের অরন্ধন না করতে। আমাদের শরীর ভালো নেই খুব একটা। কিন্তু যতক্ষণ পারি, আমরা না খেয়ে থাকব।
মেয়ের বিচারের দাবিতে গোটা দুর্গাপুজো তাঁদের কেটেছে বাড়ির সামনে ধরনা দিয়ে। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত ধরনা করেছেন অভয়ার মা, বাবা, কাকিমা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। দেবীপক্ষে এটাই এবছর তাঁদের উদযাপন। সেই ধরনায় কখনও কখনও রাজনৈতিক নেতাদেরও দেখা গিয়েছে। কখনও গিয়েছেন সেলিব্রিটিরা। তাতে পরিবারের এই প্রতিবাদ কর্মসূচির জোর বেড়েইছে। সকলের নজরে ছিল তাঁদের এই প্রতিবাদ। এই পরিস্থিতিতে রবিবার যখন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা একবেলা অরন্ধনের ডাক দিয়ে রাজ্যবাসীর কাছে তাঁদের কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান, তখন পিছিয়ে থাকেনি কন্যাহারা এই পরিবারও।