দেশে এক দলীয় স্বৈরশাসন কায়েম করার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে আর এস এস নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। তাই বিজেপি -কে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে, কোনঠাসা করতে হবে এবং রাজনৈতিকভাবে লড়াই করে পরাস্ত করে কেন্দ্রে আগামী দিন এমন একটা সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যারা গণতান্ত্রিক, জনস্বার্থে কাজ করবে। রবিবার ত্রিপুরা রাজ্য মৎস্যজীবী ইউনিয়নের আহবানে সম্মেলন মধ্যবর্তী পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য রেখে এই কথা বলেন পলিটব্যুরোর সদস্য তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
তিনি কৃষক ভবনে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রেখে বলেন, বিজেপি এমন কতগুলি বিতর্ক সৃষ্টি করে যা কার্যকর করা সম্ভব নয়। এবং এটা নিয়ে শুরু হয় পক্ষে-বিপক্ষে লড়াই। এর মধ্যে এক দেশ এক ভোট। এ বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। আরো বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার মানুষের কাজ ও খাদ্যের উপর আঘাত নামিয়ে এনেছে। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে পচার মাধ্যমকেও বগলদাবা করার চেষ্টা করেছে।
কিন্তু তারপরও ত্রিপুরার কিছু সংবাদ মাধ্যম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান তিনি। গত আগস্ট মাসে ত্রিপুরা এত বড় বন্যা হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে কোন অভয় পায়নি রাজ্যবাসী। কিন্তু গুজরাটে বন্যার পর প্রধানমন্ত্রী অভয় দিয়েছেন। এই প্রশ্ন তোলেন ত্রিপুরা গুজরাটের মতোই ভারতের রাজ্য হলেও কেন তিনি ত্রিপুরাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখছেন? তিনি আরো বলেন, রাজ্যের হাসপাতালে চিকিৎসক নেই, ঔষধ নেই, চিকিৎসার সরঞ্জাম নেই, একই অবস্থা বিদ্যালয়গুলোতে।
সরকারি বিদ্যালয়ে নেই শিক্ষক শিক্ষিকা, পড়াশোনা করার সঠিক পরিকাঠামো নেই। অপরদিকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা চরম অবনতি হয়ে চলেছে। ছাত্রীরা পর্যন্ত রক্ষা পাচ্ছে না। চুরির ডাকাতি লুণ্ঠন এই বলে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের পর আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। থানায় গেলে পুলিশ বলছে মন্ডল নেতাদের কাছে যাওয়ার জন্য। তাই এর প্রতিবাদে সকলকে সামিল হতে হবে বলে জানান পলিটব্যুরোর সদস্য। আয়োজিত সভায় এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতা সুধন দাস সহ অন্যান্যরা।