শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ১৯ তম আঞ্চলিক সরস মেলা। আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই সরস মেলা। এদিন হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে এই মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, এলাকায় বিধায়িকা মিনারানী সরকার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক ডঃ বিশাল কুমার সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানের মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত মহিলাদের আর্থ, সামাজিক উন্নয়ন হবে ততক্ষণ পর্যন্ত রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই যত প্রকল্প তৈরি করা হয় সবগুলো প্রকল্প যাতে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের অর্থনৈতিক মান উন্নয়ন করা যায় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার মহিলারা যে কঠোর পরিশ্রম করে তা তুলে ধরার অন্যতম প্লাটফর্ম হল এই সরস মেলা। এবং শুধু পণ্য সামগ্রী তুলে ধরা নয়। মহিলা চাইলে যে স্বনির্ভর হতে পারে তা তুলে ধরা। যার ফলে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তন হয়। মহিলারা এখন পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাইরে জগতেও স্বনির্ভর। আর এটাই চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই তিনি লাখ-প্রতি দিদির কথা বলতেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই মেলার মাধ্যমে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে একটি সুসম্পর্ক তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন প্রতিবছর সরাসরি মেলায় বিক্রির পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্যের মানুষের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ছয় শতাধিক স্বসহায়ক দল অংশ নিয়েছে ১৯ তম সরস মেলায়। তারা মাটি ও উলের তৈরি সামগ্রী তুলে ধরা হয়েছে।
একই সাথে হস্তাতাঁত শিল্প এবং বাঁশবেতের তৈরির শিল্প তুলে ধরা হয়েছে। একই সাথে অর্গানিক কৃষি পণ্য তুলে ধরা হয়েছে এ মেলায়। এগুলি আগামী দিন সারা দেশে ও বিশ্বের মধ্যেও পরিচিত লাভ করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে আরো বলেন, স্বসহায়ক দল যাতে আগামী দিন কম সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থাও করেছে সরকার। এখন পর্যন্ত রাজ্যের মহিলা স্বসহায়ক দলকে ১৪১৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তী সময়ে মেলা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন বিক্রেতাদের সাথে। এবং মেলা সাফল্যমন্ডিত হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।