জনজাতি গোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশেষ উদ্যোগ পিএম জনমন প্রকল্প : মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর জনাজাতি দিবস উপলক্ষ্যে পিএম জনমন-এর উদ্বোধন করেন। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হলো ৭৫ টি পিছিয়ে পড়া জনজাতি সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়ন করা। এই ৭৫ টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের রিয়াং সম্প্রদায়ের জনজাতিরা রয়েছে। ত্রিপুরার রিয়াং জনজাতি সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যেন শিক্ষাকে সঠিক ভাবে গ্রহণ করতে পারে তার জন্য সমগ্র শিক্ষা বিভাগ ছাত্রাবাস নির্মাণ ও পরিচালনার কার্যকলাপ শুরু করেছে। রাজ্যে মোট ১৪ টি ছাত্রাবাসের অনুমোদন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ১২ টি ১০০ শয্যা বিশিষ্ট। এবং বাকি দুইটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট।

সোমবার রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি ১০ টি ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য শিলান্যাস করেন। পরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে জনজাতিদের জন্য একটার পর একটা প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। এর মধ্যে এই প্রকল্প অন্যতম। প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্বল জনজাতি গোষ্ঠীর উন্নয়ন হবে। তাই এই প্রকল্প সরকার সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১৯ আগস্ট মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের জন্মদিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগে ওনাকে কেউই স্মরণ করতো না। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর মহারাজাকে সম্মান জানানো হয়েছে। আগতলা বিমান বন্দরের নাম মহারাজার নামে করা হয়েছে।

 রাজ্য সরকারও চেষ্টা করছে জনাজতিদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য। আগে গড়িয়া পূজায় এক দিনের ছুটি ছিল। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর গড়িয়া পুজায় দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান সরকার জাতি জনজাতি সকলকে নিয়ে চলতে চায়। যাদের কথা আগে কেউ কোন দিন চিন্তা করেনি, তাদের কথা চিন্তা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছাত্রাবাস নির্মাণের ফলে ছেলে মেয়েদের থাকার ব্যবস্থার পাশাপাশি পড়ালেখার গুনমান আগামী দিনে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন পিএম জনমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটা স্বপ্নের প্রকল্প। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন না হলে দেশের উন্নয়ন হবে না। এইটা মুখে বলা নয় কাজের মাধ্যমে দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। উল্লেখ্য এইদিন যে ১০ টি ছাত্রাবাসের শিলান্যাস করা হয়েছে, সেই গুলি নির্মাণ করতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৬৬০ লক্ষ টাকা। মোট ১৪ টি ছাত্রাবাস নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৭৬০ লক্ষ টাকা। এই ছাত্রাবাস গুলিতে ১ হাজার ৩০০ ছাত্র-ছাত্রী থাকার ও পড়ালেখার সুযোগ পাবে।